ড্রাইভার মালেক এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি। একজন ড্রাইভার শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। ৩ টা বাড়ী, গরুর ফার্ম আর ২৪ টি ফ্লাট রয়েছে, এটাত ভাববারই কথা! মালেকের এই অর্থসম্পদ দেখে একজন বলেছেন ” আমি ডিজি হতে চাইনা, ডিজি’র ড্রাইভার হতে চাই”।
তদন্তে এসেছে, মালেক এই অর্থ কামিয়েছে তদবির বানিজ্য করে। তদবিরের কমিশনের টাকাতেই তার এই সম্পদ জমেছে। তাহলে যিনি এই কাজগুলি করে দিয়েছেন, তার সম্পদের পরিমান কত? সম্পদশালী সেই কর্মকর্তারা এখন কোথায়? তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হউক, নাহয় এই অভিযান পূর্নতা পাবেনা। এরা শুধু অর্থ আত্নসাৎ করেই ক্ষান্ত হয়নি, ঘুষের বিনিময়ে অসৎ, দুর্নীতিবাজ, অযোগ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে গেছে। এই অসৎ কর্মকর্তারা আগ্রজদের পথ ধরেই অধিদপ্তরের সর্বনাশ করে দিবে। একজন মালেকের অর্থসম্পদ দেখেই অনুমান করা যায়, কি পরিমান অর্থ লোপাট হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। ঘুষ বানিজ্যের হোলি খেলা চলেছে প্রতিযোগীতা করে। এই ঘটনা কেবল একজন মালেক করেনি, প্রতিটি সরকারী দপ্তরের চিত্র ফুটে উঠেছে মালেকের মাধ্যমে। এসব করেই মিটার রিডার, টেলিফোনের লাইন ম্যান আর গ্যসের মাঠ কর্মীরা দেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। সব দপ্তরের বড় কর্মকর্তাদের ড্রাইভারদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হউক। তিন মাসেই অভিজাত এলাকার বাড়ী-ঘরের মালিকানার খোঁজ বেড়িয়ে পরবে। ড্রাইভারদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ঘুষখোর কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করা জরুরী। অডিট বিভাগ অডিট করে হিসাব দেখেনা, তারা অংশিদারিত্বটি দেখেছে। এই চক্র নতুন নয়, দীর্ঘদিনের আর সব সরকারের আমলেই নিরাপদে থেকেছে। সম্পর্ক বজায় রেখেছে রাজনীতিতেও ফলে, দায়টি রাজনীতির উপর চাপিয়ে দিয়ে পার পেয়ে গেছে সব সরকারের আমলেই। এবারই প্রথম অভিযান চালিয়েছে সরকার এবং নিদিষ্ট জায়গায়। চক্রটির বাসা ভেংগে দিতে না পারলে আবার তারা সংগঠিত হয়ে যাবে শিঘ্রই। শুধু স্বাস্থ্য বিভাগেইনা, সব অধিদপ্তরেই মালেকরা বসদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেবা পেয়ে দেশের সর্বনাশ করেছে কর্তাব্যক্তিরা। একবার যখন ধরপাকড় শুরু হয়েছে, অভিযানটি যেন বন্ধ না হয়। দেশের সম্পদ লুন্ঠনকারী যে’ই হউক তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা না গেলে সরকারের সব অর্জন লুটেরাদের পেটে চলে যাবে। যারা একজন ড্রাইভার মালেককে পুঁজি করে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, তারাও দেশের সার্থে সরকারকে সহযোগিতা করুন। ভি পি নুরু কে আইনী সহযোগীতা দেওয়ার চেয়ে দুর্নীতি দমনে সহায়তা করা জাতীর জন্য বেশী প্রয়োজন।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
২৪ সেপ্টম্বর ২০২০।