ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনাটি বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সদর উপজেলার বাড়ৈয়ারা গ্রামে ঘটে। লিখিত এজাহার সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্রীর উপর বাড়ৈয়ারা গ্রামের লম্পট ও এক ছেলের জনক রাজমনি খান’র নজর পরে। রাজমনি খান বাড়ৈয়ারা গ্রামের মোসলেম আলী খানের ছেলে। এমতাবস্থায় বুধবার দিবাগত রাতে উক্ত ছাত্রী মা ফাতেমা বেগম, তার স্বামী শাহজাহান হাওলাদার(৫২), রিদয় (৮) ও মেয়ে(৫ম শ্রেনীর ছাত্রী) দের নিয়ে এক সাথে রাতের খাবার খাওয়ার পর গরুর দুধ পান করেন, তখন গরুর দুধের প্রকৃত স্বাধ তারা পাননি বলে জানান। ফাতেমা বেগম আশংকা প্রকাশ করছেন রাতে রান্নার ঘরে থাকা গরুর দুধে অজ্ঞান করার কোন চেতনা নাশক দ্রব্যাদি কেহ মিশিয়ে রাখে। দুধ পান করার পরই অন্যান্য রাতের চেয়ে সকলে দ্রুত ঘুমিয়ে পরেন। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে উক্ত ৫ম শ্রেনীর ছাত্রাটি টের পায় কেউ তার বিছানার কাছাকাছি থেকে তার শরীর স্পর্শ করছে। তখন চিৎকার দিতে গেলে মুখ চেপে ধরে উক্ত লম্পট, এমন সময় ঘরের লাইট জ্বালালে সে লম্পট রাজমনি খানকে দেখতে পায়, পরে তার মা ফাতেমা বেগম দ্রুত তার মেয়ের কাছে আসলে দ্রুত পালিয়ে যায় উক্ত লম্পট। পরে সকালে তাদের বড় মেয়ে মনিকা বেগম মুঠোফোনে খবর পেয়ে দ্রুত ঝালকাঠি থেকে বাড়ৈয়ারা গ্রামের তার বাপের বসত বাড়িতে গিয়ে তার মা ফাতেমা বেগম, শাহজাহান হাওলাদার, বোনকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এর মধ্যে শাহজাহান হাওলাদারের এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি, আর মা ফাতেমা এবং ভুক্তভোগী ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।