জ্বালানি তেল কিনতে ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি তেল আমদানি করতে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় এই ঋণ দিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)। এটি ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) একটি সহযোগী সংস্থা।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এসপিএর বরাত দিয়ে শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ অর্থ দিয়ে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
সৌদি আরবের বার্তা সংস্থা আরব নিউজ জানিয়েছে, বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের জেদ্দা সফরকালে আইটিএফসির সদরদপ্তরে সম্প্রতি এ নিয়ে চুক্তিসই হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জেদ্দাভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আইটিএফসি থেকে নিয়মিত ঋণ নিয়ে তেল আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। আইডিবির সদস্য হিসেবে এ ব্যাংকে মালিকানা আছে বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশের কাছাকাছি সুদে আইটিএফসি থেকে ঋণ পেয়ে আসছে বিপিসি।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এর আগে গত মে মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল যে, সংকটের কারণে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে চাহিদা অনুযাযী ডলার দিতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে জ্বালানি তেল আমদানির বেশ কিছু বিল যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল আমদানিকারক সংস্থা বিপিসি। ফলে আমদানি বাবদ ৩০ কোটি ডলারের বেশি বিল বকেয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে ওই সময় বলা হয়েছিল, দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করা না গেলে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে বলেও বিপিসির শঙ্কা করছে। বলা হয়েছিল, ইতোমধ্যে কিছু কোম্পানি আগের পরিকল্পনার চেয়ে সরবরাহ কমিয়েও দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মূলত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকে এবং প্রধান বিদেশি মুদ্রা ডলারে টান পড়ে। তখন থেকেই শুরু হওয়া সংকট ২০২৩ সালে এসে আরও প্রকট হয়। পরে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়াসহ আরও কিছু উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট ঘাটতি নিয়ে সংকট মোকাবিলা করা হচ্ছে। খবরে বলা হয়েছিল, ডলার সংকটের কারণে আইটিএফসির আগের ঋণও যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারায় তা নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় সময় বাড়ানোর দেন দরবার চালিয়ে যাচ্ছিল। তার মধ্যেই নতুন ঋণ দিতে চুক্তি করল প্রতিষ্ঠানটি।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি