জাতীয় ডেস্কঃ দেশের অভ্যন্তরীণ রুটেও ফায়দা লুটছে ডিজেলচালিত ছোট পরিবহন। গণপরিবহনে নির্ধারিতের চেয়েও বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। ডিজেলের দাম বাড়ায় কোথাও কোথাও গাড়ির সংখ্যা কমায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কথায় কথায় বেঁধে যাচ্ছে বাগ্বিতণ্ডা। ভোগান্তি ঘাড়ে নিয়ে ছুটতে হচ্ছে গন্তব্যে। ভাড়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
সরকারের নির্ধারিত মূল্য মেনে নিলেও গণপরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য মেনে নিতে রাজি নয় সাধারণ মানুষ। কোনো তদারকি না থাকায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে যাত্রীদের মাঝে।তারা বলছেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গাড়িও ঠিক মতো পাচ্ছি না। সব কিছুর দাম বাড়লেও বাড়ছে না আয়।
এদিকে, ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই পরিবহন সংকটে রাজশাহী নগর। পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবি বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারীদের সংখ্যাও কমেছে। ফায়দা লুটছে ডিজেল চালিত ছোট আকৃতির পরিবহনগুলোও। এতে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে হচ্ছে কথা কাটাকাটি।
চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কে ছোট আকৃতির রিম্যাক্সিমায় নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। ৪ কিলোমিটার দূরত্বে শাহ আমানত সেতু থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত দেড় টাকা বাড়লেও আদায় করা হচ্ছে ৫ টাকা, কোথাও কোথাও নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা পর্যন্ত। যাত্রীদের অভিযোগ, বিআরটিএর কোনো নির্দেশনা না মেনেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় চলছে এসব পরিবহন।
রংপুরে গণপরিবহন চললেও যাত্রী নেই। অল্পকিছু যাত্রী নিয়ে তেলের খরচ তুলতে না পারায় অর্ধেকেরও বেশি বাস রাস্তায় নামেনি বলে জানিয়েছে টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের অভিযোগ, কিলোমিটার প্রতি ৪০ পয়সা করে ভাড়া বাড়ানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে নেয়া হচ্ছে অনেক বেশি। তবে, ভিন্নচিত্র সিলেটে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই নির্ধারিত ভাড়া মেনে নিয়েই গণপরিবহনগুলোতে চলাচল করছে যাত্রীরা। যদিও ভাড়া সমন্বয় করে কমানোর দাবি নগরবাসীর।
উল্লেখ্য, তেলের দাম বাড়ায় সড়কের পাশাপাশি নৌপথেও ভাড়া বাড়িয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।