আজ বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) শুরু হতে যাচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পরীক্ষা শুরুর প্রথমদিন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকাল সাড়ে ৯টায় মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, নকলমুক্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত রোববার থেকে সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও নতুন কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবার। এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ পরীক্ষার্থী অংশে নেবে। তার মধ্যে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬০১ ছাত্রী এবং ১২ লাখ ২৩ হাজার ৭৩২ ছাত্র। ছাত্রদের থেকে এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ছাত্রী বেশি। দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। আট বোর্ডের অধীনে এবার জেএসসিতে ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ জন পরীক্ষা দেবে। গত বছর এই পরীক্ষায় ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এবার এই পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৫১৩ জন। এবার জেএসসিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৩ জন এবং জেডিসিতে ৩৪ হাজার ২৫১ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে বলেও জানা গেছে। এক থেকে তিন বিষয়ে যারা অকৃতকার্য হয়েছিল তারাও এবার ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দেবে, এই সংখ্যা জেএসসিতে ২ লাখ ৩০ হাজার ৭৮৫ জন এবং জেডিসিতে ৩০ হাজার ৫৪৮ জন। বিদেশের নয়টি কেন্দ্রে এবার ৫৭৮ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। ১ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি পরীক্ষা আর জেডিসি পরীক্ষা চলবে ১ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় সব পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করতে হবে। এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হবে বলে জানা গেছে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। এছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এছাড়া অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম এবং সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে বলেও জানা গেছে।