মাছের শুটকি উৎপাদনে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে মৌলভীবাজারের জুড়ীর একদল শুটকি উৎপাদনকারী সিলেটের বিশ্বনাথ সফর করেছেন।
জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের আয়োজনে, মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাস্তবায়নে কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ এন্ড আ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বনাথ উপজেলার মাহতাবপুর, লামাকাজী শুটকি পল্লীতে এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর অনুষ্ঠিত হয়। জুড়ী উপজেলার সিবিও এর নারী-পুরুষ মিলে ২০ জন মাছ চাষী এই অভিজ্ঞতা বিনিময়ে অংশ নেয়। গত শনিবার সকালে জুড়ীর একদল শুটকি উৎপাদনকারী মাহতাবপুর শুটকি পল্লীতে দিনব্যাপী এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জুড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য অফিসার মো: শাহনেওয়াজ সিরাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বনাথ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার ধর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ শফিউল্লাহ প্রমুখ।
মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য অফিসার মো: শাহনেওয়াজ সিরাজী বলেন, ‘আমরা ২০ জন শুটকি উৎপাদনকারীকে নিয়ে ভালোভাবে শুটকি উৎপাদনের অভিজ্ঞতার জন্য সফরে নিয়ে এসেছি। এ ধরনের সফর করে শুটকি উৎপাদনকারীরা খুব উপকৃত হবেন পাশাপাশি এই শুটকি পল্লী দেখে উৎপাদনকারীরা শুটকি উৎপাদন করতে আরও আগ্রহী হবে।’
জুড়ী উপজেলা মৎস্য অফিসার মো মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জুড়ীর শুটকি উৎপাদনকারী ২০ জন নারী ও পুরুষ মিলে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে তাদের খামারে নিয়ে গেছি। জুড়ীতে শুটকি উৎপাদন হয় না, এজন্য মৎস্যচাষীদের শুটকি উৎপাদনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে এই অনুষ্ঠান।
বিশ্বনাথের খামার থেকে শুটকি উৎপাদনের বিষয়ে আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে ভালো এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে মাছের শুটকি উৎপাদনে ভবিষ্যতে জুড়ীর চাষীরা সফলতা লাভ করবে।
দলের এক সদস্য শিপন বিশ্বাস বলেন, ‘বিশ্বনাথে মাহতাপুর শুটকি পল্লী দেখে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা চাই জুড়ীর মানুষ এরকম শুটকি পল্লী গড়ে তুলে সবাই স্বাবলম্বী হোক।’
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৬:২৪ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি