তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ীর আব্দুল আজিজ মেডিকেল সেন্টারের ম্যানেজার পঃজুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের তরুন চক্রবর্তীর ছেলে তাপস চক্রবর্তীকে একদল দূর্বৃত্তকারী দেশীয় অস্ত্র চুরি ও রামদা দিয়ে হামলা করে মারাত্মক জখম করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক ১১ টার দিকে আমতৈল গ্রামের ঈদগাহ্ সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি জানান, কথা কাটাকাটির জের ধরে এ ঘটনার সুত্রপাত হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবারসুত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো তাপস তার কর্মস্থল আব্দুল আজিজ মেডিকেল সেন্টারের কাজ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ীতে ফেরার পথে গতকাল আমতৈল গ্রামের গৌরমোহন দাশের ছেলে অনুপম দাশের গায়ে মোটরসাইকেল লেগে গেলে অনুপম ক্ষিপ্ত হয়ে তাপসের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। উপস্থিত এলাকাবাসী বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়ে তাদের’কে বিদায় করে দেন এবং এ বিষয় নিয়ে যেন বাড়াবাড়ি না হয় সে মোতাবেক অনুরোধ জানান।
গত সোমবার সকালে তাপস বাড়ী থেকে কর্মস্থলে আসার পথে ঘটনাস্থল আসা মাত্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উৎপেতে থাকা অনুপম দাশ ও তার ভাই অসিত দাশ সহ ৪/৫ জনের একটি দল সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র চুরি, রামদা দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে তাপসের উপর হামলা করে মারাত্মক জখম করে। তাপসের মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী একই গ্রামের রাখাল দাশের ছেলে ট্রাক চালক সুমন দাশ’কে কিল ঘুষি লাটি দিয়ে আঘাত করে আহত করে। অন্য আরেকটি মোটরসাইকেলে সাথে আসা একই এলাকার ধিরেন্দ্র চন্দ্র শীল এর ছেলে ঝন্টু চন্দ্র শীল তাদের’কে হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে আহত হয়ে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে যান।
এলাকার লোকজন আহত তাপস’কে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে তার অবস্থার অবনতি দেখে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা যায়, তাপসের হাতে পায়ে উরুতে মারাত্মক আকারের জখম হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর ২৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সাথে জড়িতদের সে যে হোক কোনো ছাড় দেয়া হবেনা। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।