ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আসামির জবানবন্দি দেয়ার দেড় মাস পর জীবিত উদ্ধার হলো কথিত মৃত কিশোরী। সেই কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মিথ্যা মামলায় তিন যুবক গ্রেফতার ও জোরপূর্বক আদালতে জবানবন্দি আদায়ের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরিকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আসামির পরিবারের অভিযোগ, টাকা না দেয়ায় জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা।
গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হন নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। বাবার দায়ের করা অপহরণ মামলায় একমাস পর একই এলাকার রকিব, আবদুল্লাহ ও খলিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রোববার (২৩ আগস্ট) পরিবারের কাছে ফিরে আসে ওই কিশোরী। স্বজনদের দাবি, এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে মেয়েটি। সন্তানকে ফিরে পাওয়ায় এখন আর কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই বাবা-মায়ের।
তাহলে কেনো আসামিরা ধর্ষণ এবং হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করলেন? আসামিদের পরিবার বলছেন, মামলায় ফাঁসিয়ে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।