বি এন পি হঠাৎ করে খুব উত্তেজিত হয়ে উঠেছে। তিন মাসের মধ্যে সরকার পতনের হুঙ্কার দিয়েছে। চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই কথাটি নতুন নয়। এ নিয়ে বি এন পি নেতাদের ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠার কারন পরিকল্পিত। তাদের হাতে অন্য আর কোন ইস্যু নেই!
৮১ সালেই বিষটি আলোচনা হয়েছে। বি এন পি সরকারে থেকেও তা নিষ্পত্তি করতে চায়নি। সত্যটি জেনেও বি এন পি জিয়ার মৃত্যুকে সহানুভুতির রাজনীতি হিসাবে কাজে লাগাতে চেয়েছে। জিয়ার লাশ চন্দ্রিমা উদ্যানে থাকলে চিৎকার চেঁচামেচি না করে ডি এন এ পরীক্ষা করলেইত সত্যটি উদঘাটন হয়ে যায়। কিন্তু বি এন পি তা করবেনা। এই লাশ নিয়ে বি এন পি আগেও রাজনীতি করেছে এখনো করছে।
আসলে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। কি ইস্যু নিয়ে বি এন পি জনগনের কাছে ভোট চাইবে! জিয়াকে অশ্রদ্ধার অভিযোগ জনগনের সমর্থন আদায় করতে চায় বি এন পি। কারন দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে জনসমর্থন এখন সরকারের পক্ষে। খলেদা জিয়া বা তারেক জিয়া দু’জনেই নির্বাচনে অযোগ্য। একক ভাবে নির্বাচন করার সমর্থ নেই দলটির। কিছু দলছুট আর নাম মাত্র নেতাকে জিয়া ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় বি এন পি। লাশের ইস্যুটি লন্ডন থেকেই উৎসরিত এবং মুরুব্বিদের পরামর্শে। ইলিয়াছ কনকরা অর্থের বিনিময়ে দালালী করছে। ঐক্যবদ্ধ হয়েই প্রচারনা চালাচ্ছে চক্রটি। এখন বঙ্গবন্ধু পরিবারের উপরও আক্রমন শুরু হয়েছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই অঙ্কটি জানা। তবে সত্যটি হল চন্দ্রিমা উদ্যানে যে কবরটি জিয়ার নামে সাজানো হয়েছে সেখানে জিয়ার লাশ নেই।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
৫ সেপ্টম্বর ২০২১।