সিরিজ নিশ্চিত করতে পারলো না বাংলাদেশ। মিরপুরে দ্বিতীয় ৪ উইকেটে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো উইন্ডিজ। টস হেরে শুরুটা সাবধানে করে বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১০ রানের মাথায় ক্যারিবীয় পেসার ওশেন থমাসের বল পায়ের গোড়ালিতে আঘাত লাগায় আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার লিটন দাস। ওয়ান ডাউনে নামা ইমরুল কোনো রান না করেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর দুই অভিজ্ঞ তামিম ও মুশফিক মিলে দারুণ জুটি গড়ে টাইগারদের ভিত মজবুত করে দেন। তাদের জুটি থেকে আসে ১১১ রান। তবে ফিফটি তুলে নেয়ার পর দু-জনের কেউই বড় করতে পারেননি ইনিংস। ৫০ রানে তামিম আউট হবার পর মুশি ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৬২ রানে। ভালই শুরু করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু তাকেও থামতে হয়েছে ৩০ রানে। আহত হবার পর ব্যাট করতে নেমে লিটন ফেরেন ৮ রানে। পরে সাকিবের ৬২ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে ২৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ক্যারিবীয়রা। মিরাজের স্পিনে কাটা পড়েন ওপেনার হেমরাজ। তবে শেই হোপের বীরত্বগাথায় শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসল ক্যারিবীয়রাই। একে একে সতীর্থদের ফিরে যেতে দেখেছেন কিন্তু ঠাই দাঁড়িয়ে থেকে আশা দেখিয়েছেন হোপ। লড়াইটা দারুণ করেছিলেন টাইগার বোলাররাও। তবে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে পেরে উঠলেন না রুবেল, মোস্তাফিজ, মাহমুদুল্লাহরা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে ৪ উইকেটের জয় এনে দিলেন হোপ। আর সেই সাথে সিরিজের ফলাফল পাওয়ার জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষাটাও বাড়ালেন। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ২৫৫/৭ (৫০ ওভার) সাকিব ৬৫, মুশফিক ৬২, তামিম ৫০, রিয়াদ ৩০; থমাস ৫৪/৩, বিশু ২৭/১। উইন্ডিজ ২৫৬/৬ (৪৯.৪ ওভার) হোপ ১৪৫*, ব্রাভো ২৭; মুস্তাফিজ ৪৭/২, রুবেল ৫৬/২। ফল: উইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী।