বিপিএলে দশম আসরের ২৩তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্স পাত্তাই পায়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে। খুলনাকে ৩৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে খুলনাকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লিটন দাসের দল।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লিটন। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে শুরুটাও পেয়েছিলেন ভালো। তবে অর্ধশতকের খুব কাছাকাছি পৌঁছে বিদায় নেন অধিনায়ক। তার আগে ৩০ বলের মোকাবেলায় করেন ৪৫ রান, হাঁকান ২টি চার, ৪টি ছক্কা।
লিটন সাজঘরে ফিরতেই মূলত খেই হারায় কুমিল্লা। টুর্নামেন্ট জুড়ে খোলসবন্দী রিজওয়ান এই ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি। ২৮ বল মোকাবেলা করে ২টি চারের সহায়তায় রান করেন মোটে ২১। উইল জ্যাকস ২৭ বলে ২২ রান করে শুরু করেন বিপিএল। তাওহীদ হৃদয় ১৭ বলে রান করেন ১৬। সব মিলে কুমিল্লা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি, যেমনটা শুরু হয়েছিল সে অনুযায়ী পুঁজিও পায়নি।
শেষদিকে জাকের আলী অনিকের ৮ বলে অপরাজিত ১৮ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৫ বলে ১০ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল খুলনা টাইগার্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ১২ বলে ১৯ রান করে আলিস আল ইসলামের বলে বোল্ড আউট হন তিনি।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আফিফ হোসেনও। ৯ বলে ৫ রান করে আউট হন এই টাইগার ব্যাটার। ৮ বলে ৫ রান করে আফিফকে সঙ্গ দেন আকবর আলি।
এরপরই খুলনা চেপে ধরে কুমিল্লা। এক প্রান্ত আগলে রাখা চেষ্টা করলেও তা ধরে রাখতে পারেননি ইভেন লুইসও। ১৪ বলে ১০ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৩ বলে শূন্য রান করে পারভেজ ইমন আউট হলে দলীয় ৪৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা।
মোহাম্মদ নাওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে খুলনা শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন নাহিদুল ইসলাম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি নাওয়াজ। ১৩ বলে ৭ রান করে স্বদেশি আমির জামালের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।
১৩ বলে ১৩ রান করে নাহিদুলকে সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ। ২৪ বলে ২১ রান করে নাহিদুল ইসলাম আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা টাইগার্স। পরের বলেই ডাক আউট হন নাসুম আহমেদ।
শেষ দিকে ১২ বলে ২৩ রান করে ওয়াসিম জুনিয়র আউট হলে ৭ বলে হাতে থাকতেই ১১৫ রানে অলআউট হয় খুলনা। ৫ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মুকিদুল ইসলাম। এতে ৩৪ রানের জয় পায় কুমিল্লা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকার করেন আমির জামাল। দুই উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম। এ ছাড়াও আলিম আল ইসলাম, উইল জ্যাক ও মোস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট নেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম