পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে নতুন বছরের প্রথম দিনে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর পর থেকে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জরুরি পরিষেবাগুলো বেঁচে যাওয়াদের উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩ হাজার উদ্ধারকারী নোটো উপদ্বীপের কিছু অংশে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। হেলিকপ্টার জরিপে অনেক অগ্নিকাণ্ড এবং ভবন ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি দেখা গেছে। নোটোর উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ওয়াজিমা শহরটি স্থলপথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের উপকূলীয় শহর সুজুর মেয়র মাসুহিরো ইজুমিয়া জানিয়েছেন, শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি সম্পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাপানের সরকার বলেছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫৭ হাজার ৩৬০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হয়েছে। তাদের জন্য খাবার, পানি এবং কম্বলসহ চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
গত সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১০ মিনিটে জাপানের ইশিকাওয়া অঞ্চলে আঘাত হানে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প। এর পরপরই দেশটির পশ্চিম উপকূলের বিস্তৃত অংশে একটি বড় সুনামির সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। যদিও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ইশিকাওয়া অঞ্চলের নোটো প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানে শত শত বিল্ডিং আগুনে পুড়ে গেছে এবং ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে। সেখানকার প্রায় ৩৪ হাজার পরিবার এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয় ইউটিলিটি সেবাদাতা সংস্থা জানিয়েছে। অনেক শহরে পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম