স্পোর্টস ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠককে ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার’ প্রদান করেছেন । আজ বুধবার (১১ মে) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। এ সময় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রতি বছর দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
দেশের ৮৫ গুণী ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পেলেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গত ৮ বছরে ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত এ ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে পুরস্কৃত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে একটি ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সনদপত্র পেয়েছেন।
সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও ভার্চুয়ালি এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রতি বছরের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রতি বছরেই দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলকে এ বিষয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি নারী খেলোয়াড়দের আরও সুযোগ দেওয়ার কথাও বলেন।
এদিকে আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে খেলাধুলার উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রসঙ্গত, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০১৩ সালের জন্য ৪৯টি, ২০১৪ সালের জন্য ৫৩টি, ২০১৫ সালের জন্য ৩০টি, ২০১৬ সালের জন্য ৩৩টি, ২০১৭ সালের জন্য ৩৯টি এবং ২০১৮ সালের জন্য ৫৮টি, ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য ৭৮টিসহ মোট ৩৪০ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক আবেদন পত্র জমা দেন। সেখান থেকেই তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয় মোট ৩টি কমিটি গঠন করে। যাচাই-বাছাই শেষে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে তারা। তালিকাটি জাতীয় বাছাই কমিটির কাছে পাঠানো হয়।
জাতীয় বাছাই কমিটি ২০১৩ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৪ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৫ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৬ সালের জন্য ১৩ জন, ২০১৭ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৮ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৯ সালের জন্য ১১ জন এবং ২০২০ সালের জন্য ৮ জনসহ সর্বমোট ৮৫ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠককে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেয়ার সুপারিশ করে।