‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট উপস্থাপন করেছেন সংসদে। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে। এটি তার প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।
৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এ ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি, যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি ঋণ। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
✪ আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: দাম বাড়ছে ও কমছে যেসব পণ্যের
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। পরে এটি সংশোধন করে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা করা হয়।
মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশার বাণী শোনানোর পাশাপাশি আগামী অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ শতাংশ ধরা হয়, পরবর্তী সময়ে তা কমিয়ে করা হয় সাড়ে ৬ শতাংশ।
বাজেটে খাতভিত্তিক বরাদ্দ
আগামী বাজেটে ১৫টি খাতে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। খাতভিত্তিক বরাদ্দ হলো—জনপ্রশাসন খাতে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৪৭ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষা খাতে ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ৩৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৪৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, গৃহায়ন খাতে ৬ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, কৃষি খাতে ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৫ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ব্যয় ৮২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা, সুদ খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং অন্যান্য খাতে ৮ হাজার ৫৭৬ টাকা।
যেসব পণ্যে দাম বাড়ছে
মোবাইল কলরেট, ইন্টারনেট ও এসএমএস রেট, সিগারেট, কোমল পানীয়, এয়ারকন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, কাজু বাদাম, আইসক্রিম, পানির ফিল্টার, এলইডি বাল্ব, সিএনজি কনভার্সন, এমিউজমেন্ট পার্ক, থিম পার্ক , বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইকুইপমেন্ট ও ইরেকশন ম্যাটেরিয়াল, অর্থনৈতিক অঞ্চলের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও নির্মাণসামগ্রী, ফার্নেস অয়েল, মিনারেল লুব অয়েল, লুব অয়েল, বেজ অয়েল, ফিলিং স্টেশন স্থাপন, সিএনজি কনভার্সন কিট ও সিলিন্ডার, পর্যটন, ইট।
যেসব পণ্যে দাম কমছে
এবারের বাজেটে ২৭ প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানো হচ্ছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ৩০ পণ্য। নির্মাণ সামগ্রী, সুইচ-সকেট, ইলেকট্রিক মোটর, উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে খরচ, মোটরসাইকেল, কিডনি ডায়ালাইসিস ফিল্টার ও সার্কিট, স্পাইনাল নিডল, এসেপটিক প্যাক, কার্পেট, ডেঙ্গু কিট, ক্যান্সার চিকিৎসা খরচ, ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী, বিদেশি চকলেট, বিদেশি গুঁড়ো দুধ, মিথানল, পলিপ্রোপাইলিন ইয়ার্ন, ম্যাংগানিজ, দেশীয় ল্যাপটপ-কম্পিউটার, তৈরি পোশাক, ক্ষুদ্রঋণ, রেমিট্যান্স, পোলট্রি, ফিশারি খাতেও করছাড় কমানো হতে পারে বলেও জানা যায়।
১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
আগামী অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। কালো টাকা থাকা নাগরিকরা তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়েই তাদের অঘোষিত সম্পদকে বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এবারের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইন যা-ই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা ফ্ল্যাট, জমির পাশাপাশি নগদ অর্থসহ স্থাবর সম্পত্তির জন্য ১৫ শতাংশ কর দিলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এছাড়া, শেয়ার বাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেটে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কোনো প্রশ্ন ছাড়াই কালো টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে।
করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত
করমুক্ত আয়কর সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা বহাল রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবারের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, আয়ের প্রথম সাড়ে ৩ লাখ টাকার ওপর কোনো কর দিতে হবে না। পরবর্তী ১ লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৩ লাখ টাকায় ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকায় ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ ও বাকি আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।
স্বাস্থ্যে বাড়তি বরাদ্দ
এবারের প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আট দশমিক এক শতাংশ বাড়িয়ে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে কমলো বরাদ্দ
এবারের প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রায় ১৫ শতাংশ কমিয়েছে সরকার। এবার এই খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।
গাড়ি আমদানিতে এমপিদেরও দিতে হবে শুল্ক
জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক-কর বর্তমানে অব্যাহতি আছে। এ সুবিধা কমিয়ে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে সরকার। তাদের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা কমিয়ে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
✪ আরও পড়ুন: বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৭৫ শতাংশ, মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ৬.৫ শতাংশ
প্রতিবারের মতো এবারও বরাদ্দ কমলো শিক্ষায়
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) অনুপাতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির তুলনায় ১ দশমিক ৬৯ শতাংশের কথা বলা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ ছিল জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল জিডিপির এক দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল দুই দশমিক ৮ শতাংশ। সরকার চলতি অর্থবছরে শিক্ষাখাতে ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। চলতি অর্থবছরের মোট বরাদ্দের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৭১০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছে সরকার। যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নির্ধারণ
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রভিশনাল হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার এপ্রিল পর্যন্ত আট দশমিক চার শতাংশ ছিল।
যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ কমলো
এবারের প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ গতবারের চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা কমেছে। বাজেটে সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান পরিবহন উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ কমলো চার হাজার ৬৯৩ হাজার কোটি টাকা।
স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট তৈরির সিদ্ধান্ত
আগামী অর্থবছরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ৪ হাজার ৩২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব ফ্ল্যাট নির্মাণের পর স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে ভাড়া দেওয়া হবে। এদিকে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৪ হাজার ৮৫৬টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে।
প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব
প্রভিডেন্ট, গ্র্যাচুইটি, সুপারঅ্যানুয়েশন ও পেনশন তহবিল থেকে অর্জিত আয়ের ওপর কর হার আগের ২৭ দশমিক পাঁচ শতাংশে ফিরিয়ে নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বর্তমানে এই করের হার ১৫ শতাংশ। এটি কার্যকর হলে করহার ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। অন্যথায় তা বর্তমান ১৫ শতাংশই থাকবে।
আইসিটি খাতে ক্যাশলেস শর্তে ৩ বছরের করছাড়
আইসিটি খাতে ক্যাশলেসের শর্তে ১৯ ধরনের ব্যবসায় ৩ বছরের জন্য কর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেছে সরকার। ব্যবসাগুলো হলো-এআই বেজড সল্যুশন, ব্লকচেইন বেজড সল্যুশন, রোবোটিক্স প্রসেস আউটসোর্সিং, সফটওয়্যার সেবা, সাইবার নিরাপত্তা সেবা, ডিজিটাল ডেটা বিশ্লেষণ ও ডেটা সায়েন্স, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন, সফটওয়্যার টেস্ট ল্যাব, ওয়েব লিস্টিং এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, আইটি সহায়তা এবং সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ, জিআইএস, ডিজিটাল অ্যানিমেশন, ডিজিটাল গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল ডেটা এন্ট্রি এবং প্রক্রিয়াকরণ, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এবং ই-পাবলিকেশন, আইটি ফ্রিল্যান্সিং, কল সেন্টার এবং ডকুমেন্ট রূপান্তর, ইমেজিং ও ডিজিটাল আর্কাইভিং।
নিত্যপণ্যে উৎস কর অর্ধেক করার প্রস্তাব
চলমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যপণ্যের ওপর উৎস কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে চাল, গম, আলু, পেঁয়াজ, ভুট্টা, ভোজ্য তেল, লবণ এবং চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের সরবরাহকারীরা ঋণপত্রের ওপর দুই শতাংশ উৎস কর দেন। এ হার আগামী অর্থবছর থেকে এক শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ভুগতে থাকা গ্রাহকরা কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।
মোবাইলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা বাড়ানোর সুপারিশ
মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা আরও ২ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসবেন সরকারি চাকরিজীবীরা
আগামী অর্থবছর থেকে নিয়োগ পাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের অবসর পরবর্তী পেনশন সুবিধার পরিবর্তে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বিক্ষোভের মধ্যে অর্থমন্ত্রী এ ঘোষণা দিলেন।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:৩৫ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি