আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশের শীর্ষনেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
কপ-২৯ সম্মেলনের স্থানেই বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরদোয়ান তাকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গভীর সংস্কারের পথে তুরস্কের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এসময় অধ্যাপক ইউনূস তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি জুলাই মাসে ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শনের জন্য প্রতিবাদকারী ৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মুক্তির জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পোদেলকে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা জানান।
অধ্যাপক ইউনূস দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সার্কের পুনরুজ্জীবনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তার পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে সার্কের পুনরুজ্জীবনকে একটি প্রধান লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
এছাড়া তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, ঘানার রাষ্ট্রপতি, বসনিয়া হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রী, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রপতি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মন্টেনেগ্রোর রাষ্ট্রপতি, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল ও ইরানের সহ-রাষ্ট্রপতি, ফিফার রাষ্ট্রপতি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম