চলমান তীব্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার সেই পুলিশ অফিসার ডেরেক চৌভিন (৪৪)’র বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ থার্ড ডিগ্রি থেকে সেকেন্ড ডিগ্রিতে উন্নীত করা হয়েছে।
গত ২৫ মে হাতকড়া পরিহিত জর্জ ফ্লয়েডের (৪৬) গলায় হাটু চেপে নির্মমভাবে হত্যা করেন চৌভিন। হতাকাণ্ডের সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার অপর তিন পুলিশ অফিসারকেও সেকেন্ড ডিগ্রি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ফ্লয়েডকে হত্যার ৯ দিন পর মিনেসোটার এটর্নি জেনারেল কীথ এলিসন ৩ জুন বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ফ্লয়েডকে বর্বরোচিতভাবে হত্যার সংবাদটি জানাজানি হয় একজন পথচারির সেলফোনে রেকর্ড করা ভিডিও ফুটেজ থেকে। মিনিয়াপলিস সিটিতে গত ২৫ মে অপরাহ্ণের এই পাশবিকতার বিরুদ্ধে সারা আমেরিকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনো তীব্র আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের ব্যাপকতা এতটাই প্রকট হয়েছে যে, নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসিসহ কয়েক ডজন সিটিতে কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
অনেক স্থানে কারফিউ ভেঙ্গে বিক্ষোভ করা হয় টহল পুলিশের সামনেই। ৩১ মে এবং জুনের ১ ও ২ তারিখে আন্দোলনের মাত্রা এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছিল যে, বিক্ষোভে ঢুকে পড়া দুষ্ট লোকেরা আশপাশের মূল্যবান সামগ্রীর স্টোরে হামলা চালিয়ে লুটতরাজে লিপ্ত হয়েছিল। এ কারণে এই ৩ রাতে বিভিন্ন সিটি থেকে ৭ হাজারের অধিক মানুষকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনের শুরু থেকে ৯ দিনে গ্রেফতারের সংখ্যা মোট ১০ হাজার ৫০০। মারা গেছে ১০ জন। পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ফ্লয়েড হত্যা মামলায় প্রথমে ডেরেক চৌভিনকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে থার্ড ডিগ্রির অভিযোগ পেশ করা হয়েছিল। এ ছাড়া অপর তিনজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলেও মামলায় জড়িত করা হয়নি।
এসব ঘটনায় রাজপথে সোচ্চার প্রতিবাদ ওঠায় মিনেসোটা স্টেট গভর্নরের নির্দেশে চারজনের বিরুদ্ধে নতুন এই অভিযোগপত্র পেশ করা হয়েছে। অর্থাৎ সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনা না ঘটলেও ফ্লয়েডকে গ্রেফতারের পর ডেরেকসহ অন্যরা তাকে মেরে ফেলায় উদ্যত হন-এটাই হচ্ছে সেকেন্ড ডিগ্রির অভিযোগ।
আদালতে তা প্রমাণিত হলে ডেরেকের ৪০ বছরের কারাদন্ড এবং সহযোগী তিনজনের ১০ বছর করে কারাদন্ড হতে পারে। এই মামলার পরবর্তী তারিখ ৮ জুন।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর/এমআরবি