মোঃ শফিকুল ইসলাম বাবু : নদীবেষ্টিত ভোলা জেলার বাহিরে যাওয়ার একমাত্র ভরসা নৌযান। ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট থাকার কারণে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে প্রায়ই নিয়ে যেতে হয় বরিশাল। কিন্তু এখনে নেই কোন উচ্চ গতি সম্পন্ন নৌ এ্যাম্বুলেন্স। এ পরিস্থিতিতে স্পিডবোট সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এসব স্পিডবোটে এ্যাম্বুলেন্সের কোন সুবিধা না থাকলেও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি । যার ফলে অর্থাভাবে বরিশাল যাওয়ার পথে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই ।
ভোলা সদর হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এখানে আছে ১১ জন চিকিৎসক, যার ফলে সমস্যায় পড়ছে সাধারণ জনগণ, প্রতিদিন গড়ে ২০০-৩০০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে এ হাসপাতালে, চিকিৎসক সংকট ও ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রোগীকে রেফার করা হয় বরিশাল হাসপাতালে। শহরে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক থাকলেও ঝুকিপূর্ণ রোগীর দ্বায়িত্ব নিতে চান না তারা। তাই অসহায় হয়ে রোগীকে নিয়ে যেতে হয় বরিশাল, কিন্তু বরিশাল যেতে লঞ্চ যোগে লেগে যায় ৩ ঘন্টার ও বেশি সময় যেটা রোগীর জন্য হুমকি স্বরুপ । তখন দ্রুত যাওয়ার জন্য বেঁচে নেয় স্পিডবোট, এ সুযোগ কে কাজে লাগায় স্পিডবোট সিন্ডিকেট, অযৌক্তিক ভাড়া চেয়ে বসে তারা।
রোগীর স্বজন রুহুল আমিন জানান, স্পিডবোট মালিকরা ভাড়া চায় সাড়ে চার হাজার টাকা, যেখানে সাধারণ জনগণ নিয়ে গেলে জন প্রতি ২৫০ টাকা করে ১০ জন নেয়, সেখানে রোগী দেখলে ভাড়া হয়ে যায় দিগুণ ।
অন্য রোগীর স্বজন বলেন কম টাকায় হয়তো লঞ্চে করে যাওয়া যায় কিন্তু তাতে ৩ ঘন্টা হতে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লাগে। এত সময়ে রোগীর অবস্থা কি হয় কে জানে, তাই বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ টাকা দিয়ে স্পিডবোটে যেতে হয় ।
রোগীর কাছ হতে বেশি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিডবোট মালিকরা জানান, রোগী নিয়ে গেলে সাবধানে বোট চালাতে হয়,রোগীর যাতে কোন সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়, তাই অন্য সময়ের চেয়ে একটু আস্তে আস্তে চালতে হয়, যে কারনে খরচটা একটু বেশি পরে,তাই আমরা অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি নেই।
এ প্রশ্নের জবাবে ভোলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, গত বছরই ৫ টি নৌ এ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হয়েছে। দৌলতখান উপজেলায় একটি থাকলেও সেটা ধীরগতির। সদরের জন্য উচ্চ গতি সম্পন্ন নৌ এ্যাম্বুলেন্স চেয়ে আবারও আবেদন করা হয়েছে। তবে কবে পাওয়া যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই ।