মোঃ খোরশেদ আলম, মুরাদনগর প্রতিনিধিঃ মুরাদনগর উপজেলার ১৭নং জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ১৭নং জাহাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী,১৭নং জাহাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সভাপতি,বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ এর বিশ্বস্ত আস্তাভাজন এবিএম.সিদ্দিকুর রহমান তিনি বলেন জনগণ থেকে নিতে আসিনি জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য এসেছি।
পারিবারিক এবং রাজনৈতিক সূত্র বলছে,এবিএম.সিদ্দিকুর রহমান একজন সৎ, নিষ্ঠাবান নেতা। তিনি বিভিন্ন সময় অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন ও সমাজ কল্যাণমুলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত থেকে সমাজ সেবায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছেন এবং তিনি করোনা কালীন সময়ে অসহায় কর্মহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং শীতার্তদের মাঝে শীত বস্র বিতরণ করেন। মানুষের সেবা করাকেই তিনি মহান ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
এবিএম.সিদ্দিকুর রহমান ১৭নং জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারমান নির্বাচনে প্রার্থী হলে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন ইউনিয়ন গঠনে সচেষ্ট হবেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নেতা কর্মীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করেছি।নিজের অবস্থান আরো সুসংহত করতে তিনি নিয়মিত গনসংযোগ করছেন।নিজের প্রার্থিতা জানান দিয়ে তিনি ইউনিয়ন এর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সমর্থন ও দোয়া প্রার্থনা করছেন।
এছাড়াও তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নও আগামীতে আর কি কি হতে যাচ্ছে সেই বার্তাও পৌছে দিচ্ছেন।
এবিএম.সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে শাসক নয় জনগনের সেবক হয়ে কাজ করবো। ইউনিয়নকে মাদক, সন্ত্রাস ও দূর্নীতি মুক্ত করতে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করবেন তিনি। সে উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করে দীর্ঘ দিন ধরে ইউনিয়ন বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকায় সমাজসেবক হিসেবে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে।
এছাড়া সকল সময়ে তিনি অসহায় দুস্থ্য মানুষের সুখ দুঃখে সর্বদা পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও দলীয় কর্মকান্ডসহ একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এলাকায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রচারণাকালে তিনি আরো জানান,জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল। আমি চেয়্যারমান নির্বাচিত হলে সুশীল সমাজকে সঙ্গে নিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মূলক গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাঘাট, কালভাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেকার যুবক-যুবতীদের যথাযথ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী করে তোলার কাজ করব। নারী ও শিশুনির্যাতন, মানব পাচার, এসিড, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ এবং মাদক, চোরাচালানের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবো। দীর্ঘ দিনের জরাজীর্ণতাকে পিছনে ফেলে ইউনিয়নবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সকল উন্নয়ন মূলক কাজ ত্বরান্বিত করবো।
তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে আরো বলেন সবার সহযোগিতায় ১৭নং জাহাপুর ইউনিয়ন কে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেখানে থাকবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সুখ-শান্তি আর নাগরিকের সুযোগ সুবিধা।