ডিবিএন ডেস্কঃ দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, পুত্রবধু, ১ নাতি ও ১ নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ সোমবার (২২ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান বলে দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আতিকউল্লাহ খান মাসুদের মরদেহ এখন শাহবাগের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে তাঁর দুই ছেলের একজন বিদেশ থেকে না আসা পর্যন্ত। পরে তাঁকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আজ সোমবার বাদ যোহর ক্যান্টনম্যান্টের ২ নম্বর সেক্টরের আল্লাহু্ মসজিদে মরহুমের ১ম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ১৯৫১ সালের ২৯শে আগস্ট মুন্সীগঞ্জ জেলার মেদিনী মন্ডল গ্রামের সম্ভ্রান্ত খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
আতিকউল্লাহ খান মাসুদ গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তার সম্পাদনায় ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় দৈনিক জনকণ্ঠ। বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে আলোড়ন তুলে মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদও আসেন তুমুল আলোচনায়। এই পত্রিকাটি সর্বপ্রথম দেশের কয়েকটি স্থান থেকে একযোগে ছাপা শুরু করেছিল। পরে অবশ্য তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে ২০০৭ সালে জনকণ্ঠ ভবন থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। সে সময় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয় এবং সেসব মামলায় তাকে ৪৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০০৯ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জামিনে মুক্তি পান জনকণ্ঠ সম্পাদক। পরে মামলাগুলো থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।