টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। দল আছে টেবিলের একেবারে তলানীতে। তবুও জয় দিয়ে শেষ দুই ম্যাচ রাঙাতে চায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১১তম রাউন্ডের ম্যাচে বন্দরনগরীর দলটির প্রতিপক্ষ ঢাকা ডমিনেটর্স।
ক্রিকেটারদের পেমেন্টসহ নানা ইস্যুতে চলতি বিপিএলে খবরের শিরোনাম হওয়া ঢাকাও জিততে চায় নিজেদের শেষ ম্যাচটি। মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে কাতার বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার উদাহরণ টেনেছিল চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচ হারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া ফ্রাঞ্চাইজিটির এমন পোস্ট সে সময়েই জন্ম দিয়েছিল হাস্যরসের। কিন্তু এখন বাস্তবতা হলো, একটা জয়ের জন্য হন্য হয়ে ফিরছে কর্ণফুলী পাড়ের দলটি।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
বিপিএলের শেষের ঘণ্টা বাজার অপেক্ষা। চ্যালেঞ্জার্সের বিদায় ঘণ্টা বেজেছে অনেক আগেই। বাকি আছে দুটি ম্যাচ, যেখানে জয় পেলে অন্তত তলানীর দল হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার লজ্জা জুটবে না কপালে। প্রতিপক্ষ ঢাকা, তাইতো আশার প্রদীপ জ্বলছে জোরেসোরেই।
ঢাকার ম্যাচকে সামনে রেখে চট্টলার দলটির অনুশীলন দেখে উত্তাপ টের না পাওয়া গেলেও, সিরিয়াসনেস দেখে এটা নিশ্চিত যে এখনও ইতিবাচক আছেন ক্রিকেটাররা। ব্যাটিংটা ভালো হলেও বরাবরই দলকে ডোবাচ্ছে বোলিং। শেষ দুই ম্যাচে তাই এই ডিপার্টমেন্টের দিকে তাকিয়ে ক্রিকেটাররা।
সংবাদমাধ্যমকে ম্যাক্স ও’দাউদ বলেন, ‘সত্যি বলতে সবাই হতাশ। তবে এখনও দুটো ম্যাচ বাকি আমাদের। শেষটা তাই ভালো করতে চাই। আমার কথা যদি বলেন, এবারের টুর্নামেন্টে আমার অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুণ ছিল। এদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিপিএলটাও দারুণ উপভোগ্য ছিল। এখন শেষটা রাঙাতে চাই।’
অন্যদিকে দৈন্যদশা ঢাকারও। পেমেন্ট ইস্যুতে জটিলতা তো আছেই, সঙ্গে ঢাকার চাকা থমকে আছে মাত্র তিন জয়ে। তবে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন নাসির। শেষ ম্যাচে তার সামনে উইকেট আর রানের সংখ্যা বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ। তবে চট্টগ্রাম ও ঢাকার প্রথম সাক্ষাতে ৮ উইকেটের জয় আছে চ্যালেঞ্জার্সের।