জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত তাদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবসাইট ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত ওই নোটিশে সরকার জানিয়েছে, তথ্য সংশোধন ও সংযোজনের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট www.hsd.gov.bd-এ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd – এ এই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, তথ্য সংশোধন ও সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য যাচাই, সংশোধন ও পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারও কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে, তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধন করতে হবে যেভাবে-
ক) নিহতদের পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
খ) রেজিস্ট্রেশনের পর নিহত ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।
গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।
ঘ) পূরণ করা তথ্য নিয়ে যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল, সেই হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।
ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিহতদের পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদের পূরণ করা ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন।
চ) দাখিল করা তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হয়েছে কি না, তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।
এছাড়া, সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের মধ্যে যদি কারো নাম এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে– তাহলে নিহতদের পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদের উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম