স্পোর্টস ডেস্কঃ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম দিনই একের পর এক চমক আর উত্থান ও পতন দেখল ফুটবল বিশ্ব। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বড় গোলের ব্যবধানে হারতে হল লিওনেল মেসিহীন বার্সেলোনাকে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেলসি জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল।
মেসিবিহীন বার্সেলোনার মাঠের পারফর্মেন্স হতাশার। তারা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে। জার্মান ক্লাবটির একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কাতালানরা। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের পর এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পায় তারা। বার্সেলোনা গোলের উদ্দেশে পাঁচটি শট নিলেও কোনোটিই ছিল না লক্ষ্যে। বিপরীতে বায়ার্নের ১৭ শটের সাতটি ছিল লক্ষ্যে। ম্যাচের প্রতিটি ধাপে মিউনিখের আধিপত্যের চাপে ছিল বার্সা। বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার রবার্ট লেয়ান্দোস্কি ছিল গতকালের মূল খেলোয়ার। সেই মূলত বার্সেলোনাকে এক প্রকারে চেপে ধরেছিল। খেলার ৩৩তম মিনিটে মুলারের শট আর ঠেকাতে পারেনি টের স্টেগেন। ডি-বক্সে বল পেয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন জার্মান এ ফরোয়ার্ড। কাতালানদের হয়ে সদ্য দলে ভেড়ানো মেম্ফিস ডিপেই ও লুক ডি জং কোনো সুযোগ করতে পারছিলেন না। পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে ক্লাবটি। বিরতি থেকে ফিরে বায়ার্ন বারবার আক্রমণ করে যাচ্ছিল কাতালানদের। ৫৬তম মিনিটে জার্মান ক্লাবটির স্কোরলাইন দ্বিগুণ করেন লেভানডভস্কি। জামাল মুসিয়ালার শট গোলপোস্টে থেকে ফিরে এলে পরের শটেই বার্সার জাল খুঁজে নেন পোলিশ এ তারকা। ৮৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান লেভানদোভস্কি। সের্গে জিনাব্রির শট পোস্টে লেগে ফেরার পর বল ধরে এক ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন পোলিশ তারকা। এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯৭ ম্যাচে তার মোট গোল ৭৫টি। জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে এ নিয়ে অষ্টমবার হারল বার্সেলোনা। ১২ বারের মুখোমুখিতে বায়ার্ন জিতেছে ৮ বার, আর বার্সেলোনা ২ বার। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র।
অন্যদিকে, জয় দিয়েই নিজেদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেলসি। এইচ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জেনিতের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও প্রথমার্ধে গোল পেতে ব্যর্থ হয় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের দখল চলে যায় চেলসির হাতে। ৬৯ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর গোলে ম্যাচ জেতে ব্রিটিশ ক্লাব। একই গ্রুপে বড় জয় পেয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর প্রাক্তন ক্লাব জুভেন্তাস। মালমোর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের রাশ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজের হাতেই ধরে রাখতে ইতালির ক্লাব। ২৩ মিনিটের মাথায় অ্যালেক্স সান্দ্রোর গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্তাস। ৪৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল দেন পাওলো দিবালা। ঠিক এক মিনিটে আলভারো মোরাতার গোলে জুভেন্তাসের জয় নিশ্চিত হয়। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি।