বিপিএলের দশম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ও দুর্দান্ত পারফরম করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক এবং টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন তামিম। সেই সঙ্গে আসরের সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি। ১৫ ম্যাচে ৩৫ গড়ে ৪৯২ রান করেছেন দেশ সেরা এই ব্যাটার।
মাঠের বাইরের নানা প্রসঙ্গেই অনেক দিন ধরেই বেশি আলোচিত তামিম ইকবাল। সবশেষ ভারত বিশ্বকাপে না থাকা ঘিরে বিতর্ক, পুরোনো চোটের সঙ্গে লড়াই, জাতীয় দলে ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ। তবে মাঠে খেলতে নেমে এসব বিষয় আর গায়ে মাখেননি দেশ সেরা এই ওপেনার। ধারাবাহিক ও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তিনিই পেলেন দশম বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার স্বীকৃতি।
একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তারা। তবে সেসব এখন সোনালী অতীত। মানসিক দূরত্ব বাড়তে বাড়তে সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের বন্ধুত্ব একসময় দ্বন্দ্বে রূপ নেয়। শুরুর দিকে বিষয়টি খুব একটা প্রকাশ্যে না এলেও সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় সেটির চরম বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে। এতকিছুর মধ্যেই বিপিএলের শেষে সাকিবের প্রশংসা করেছেন তামিম।
এবারের বিপিএলে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে দুজনের শরীরী অভিব্যক্তিও ছিল দৃষ্টিকটু। নিজের বলে তামিম আউট হওয়ার পর সাকিবের উচ্ছ্বাসটা ছিল ভিন্ন রকমের। আর সাকিব আউট হওয়ার পর তামিমও চিরচেনা উল্লাস ছেড়ে একটু ভিন্নভাবে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছেন না।
কিন্তু ১ মার্চ বিপিএল ফাইনালের পর তামিমের কথা শুনে মনে হলো, যত তিক্ততাই থাকুক না কেন, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের প্রতি তামিমের শ্রদ্ধা ঠিকই অটুট। আর তাই বিপিএল শেষে তামিমের মুখে আলাদা করে সাকিবের অকুণ্ঠ প্রশংসা।
ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিমের কাছে প্রশ্ন ছিল, বিপিএলে কার কার পারফরমেন্স তার নজর কেড়েছে?
উত্তরে ফরচুন বরিশাল ক্যাপ্টেন তামিম আলাদা করে সাকিবের কথা বলেন এবং তার ভূয়শী প্রশংসা করেন। তামিম বলেন, এবারের বিপিএলে সাকিব দারুণ খেলেছে। শুরুতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে ঠিক নিজেকে খুঁজে পেয়েছে এবং ব্যাট ও বল হাতে সমান ভাল খেলেছে। সামগ্রিকভাবে সাকিবের ব্যাটিং ও বোলিং পারফরমেন্সটা ছিল বেশ ভাল।
সাকিবের প্রশংসার পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে শরিফুলের বোলিং আর তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটিং খুব ভাল লেগেছে তামিমের। তার অনুভব- এই দুই তরুণ দারুণ পারফর্ম করেছে। শরিফুল তো বল হাতে রীতিমত আগুন ঝরিয়েছে। আর হৃদয় অনবদ্য ব্যাটিং করেছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম