আব্দুল আলীম, চৌগাছা প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছায় অনেক আগের সেই সনাতন পদ্ধতিতেই চলছে পাট জাগ দিয়ে পচানোর কাজ। ফলে আগের থেকে পাটের গুণগতমান অনেক কমে গেছে, যার কারণে কৃষক পাটের সঠিক দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্য সব বছরের চেয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হবার কারণে এই বছর উপজেলার খাল-বিল, নদী-নালা এমনকি পুকুর গুলোর পানিও শুকিয়ে গেছে, যার ফলে কোন রকম হাটু পানিতেই পাট জাগ দেওয়া হচ্ছে। কম পানিতে পাট জাগ দেবার ফলে পাটের রং কালো হয়ে পাটের মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
চৌগাছা বাজারের বিভিন্ন পাটের আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, যে গুলো নদীতে ধোয়া ভালো মানের পাট ১৬০০-১৭০০ এবং যে গুলো পুকুর বা ডোবার পানিতে ধোয়া সে গুলো ১২০০-১৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রয় করা হচ্ছে । পাট চাষে অন্য সব ফসলের তুলনায় খরচ অনেক কম এবং লাভ অনেক বেশি হবার ফলে এই উপজেলার হাজারো কৃষক পাট চাষে ঝুকে পড়েছে ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার সুখপুকুরিয়া, হাকিমপুর, নারায়ণপুর, স্বরুপদাহ, ধুলিয়ানী, সিংহঝুলি, জগীদেশপুর, চৌগাছা, পাতিবিলা, ফুলসারা, পাশাপোল ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায় ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে তোষা জাতের পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে। এ বছর পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৪০ মেট্রিক টন।
সরেজমিন আজ রবিবার আরও দেখা যায় উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ফাঁসতলা বাজারে যেয়ে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু পাট চাষি রাস্তার পাশে কয়েক বিঘা খালি শুকনা জমির চারপাশ উঁচু করে বেঁধে সেচপাম্পের সাহায্যে পানি দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন।
এ প্রতিবেদকে দেখে কয়েকজন পাট চাষি বলেন, ভাই উপায় নেই, দেখছেন তো কোথাও এক বিন্দু পানি নেই। পাট গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে তাই বাধ্য হয়েই এই ভাবেই পাট গুলো জাগ দিচ্ছি।
এ সময় বেশ কয়েকজন পাট চাষি অভিযোগ করে বলেন, এ ভাবে চলতে থাকলে আগামিতে আর পাট চাষ করা হবে না ।