আব্দুল আলীম, চৌগাছা-যশোরঃ যশোরের চৌগাছায় চারিদিকে শুধু গুঞ্জন এসএসসি-৯৯ ব্যাচকে নিয়ে। তাদের নিজ বন্ধুদের নিয়ে গঠিত ফাউন্ডেশনের কার্যকলাপে মুগ্ধ উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ। ৯৯-ব্যাচ ফাউন্ডেশনের পদধুলিতে মুখরিত উওজেলার বিভিন্ন স্থানের মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এতিমখানা এবং আরও অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
রমজানে ব্যাচটির কাজ ছিলো একটু অন্য রকমের। মাসব্যাপী তারা উন্মুক্তভাবে ইফতারি বিতরণের কাজ হাতে নেয়। উপকার হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরে আগত সাধারণ ব্যক্তিদের। সাধারণ ব্যক্তিরা শহরে কাজে এসে কিংবা কেনাকাটা করতে এসে ইফতারির সময় হলে এই উন্মুক্ত ইফতারিতে যোগ দেয়। এ ধরনের ভূমিকাতে ৯৯-ব্যাচের প্রতি অনেকেই খুবই খুশি।
ব্যাচ সূত্রে জানা যায়, মাসব্যাপী এই ইফতারি বিতরণের কাজ সম্পন্ন হয় শহরের মুর্তির মোড়ে। সেখানে তারা প্রতিদিন ইফতারি বিতরণের কাজ করতে এক মাসের জন্য একটি চেয়ার ও টেবিল ক্রয় করে রেখেছে। প্রতিদিন এই টেবিলে ইফতারির প্যাকেট সাজিয়ে রাখা হয়। ইফতারির মেনুতে প্রতি শুক্রবারে খেঁচুড়ি, সোমবার-বুধবার ফলমুল ও রবিবার-মঙ্গলবার-বৃহস্পতিবার ভাজাভুজি থাকে। বাজারের যে কেউ আসলেই তাকে ইফতারি দেওয়া হয়। এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। বিতরণের সময় ৯৯-ব্যাচের অনেক বন্ধুই প্রতিদিন উপস্থিত থাকে। আজ শুক্রবার (২৪ মে) ইফতারিতে ছিলো ২৬০ প্যাকেট ভুনা-খেঁচুড়ির ব্যবস্থা। আজকের ভুনা-খেঁচুড়ির প্যাকেট পেয়ে পথচারীরা খুবই আনন্দিত। তাদের অনেকেই ৯৯-ব্যাচকে উল্লেখ করে বলেছেন, এই ব্যাচের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে আমরা গর্বিত।
আজকের উন্মুক্ত ইফতারির ভুনা-খিঁচুড়ি বিতরণে উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, প্রেসক্লাবের অর্থসম্পাদক ও মৃধাপাড়া মহিলা কলেজের প্রভাষক-৯৯ ব্যাচের অমেদুল ইসলাম, ব্যাচ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাদেকুর রহমান ডালিম, আব্দুল হালিম, মঞ্জুরুল আলম জেমস, নাজিম উদ্দীন, সজল হোসেন, কাজল হোসেন, বনি মিয়া প্রমূখ।