চৌগাছা প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড পরিপূর্ণ, অবশষে ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থান ফ্লোরে। আজ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর সরজমিনে অবস্থান করে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পাওয়া যায় ৩২ জন।
হাসপাতাল ও ওয়ার্ডে কর্মরত কর্মচারীসহ রোগীদের ভাষ্যমতে গত দিন রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিলো। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এক/দুই জন রিলিজ হচ্ছে তো সমপরিমান কিংবা তার অধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু কিছু রোগীর হাসপাতালের প্রতি অভিযোগ রয়েছে। আন্দারকোটার মাসুদ কবীর নামে একজন ডেঙ্গু রোগী দুঃখ করে বলেন গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি কিন্তু আমরা যে রোগী সে বিষয়ে হাসপাতালের কেউ গুরুত্বই দিচ্ছিলো না। অনেক বকাবকির পরে আজ দপুরে একজনের মাধ্যমে ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করা হলো। অপর একজন ডেঙ্গু রোগী শাহ নেয়ামত বলেন আমাদের যদি গুরুতর অবস্থাও হয় তাও নার্স আসতে চায়না এবং ডাক্তার আসেনা। আরেকজন রোগী বলেন হাসপাতালের বেসিনগুলোর অবস্থা খারাপ। পানি ছাড়লেই সারা জায়গা ভেষে যাচ্ছে। সেদিকেও কারোর নজোর নেই। কয়েকদিন আগে হাসপাতাল থেকে টায়ফয়েডের চিকিৎসা নিয়ে রিলিজ হওয়া দেবীপুর গ্রামের ইকবল বলেন আমার তো চিকিৎসা দিচ্ছিলো না। এক পর্যায়ে আমার পরিবার আমাকে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তাই ছিলো। পরে মেডিনোভা ক্লিনিকে ডাঃ সুব্রত কুমার বাগচীকে ফি হিসাবে ২০০ টাকা দিয়ে আসলে তিনি হাসপাতালে এসে আমার জন্য ভালো একটা প্রিসক্রিপশন করে দিয়েছিলো। তারপর ঐ প্রিসক্রিপশন মোতাবেক ঔষধ খেলে সুস্থ হই। তাহলে আমার বক্তব্য সরকারি হাসপাতালে চাকুরীজগতে তাদের দায়িত্ব কি?
পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড মিলে আজকে চিকিৎসারত ডেঙ্গু রোগীরা হলেন টেঙ্গরপুরের তায়েম আলী (৩৭), ধূলিয়ানীর কিতাব আলী (৫৫), পাঁচনামনার ইদ্রিস (২৯), সঞ্চডাঙ্গার সাদিক (১৪), মুক্তদহ-তেঘরির আকিব হোসেনের মেয়ে জান্নাতি (৯ মাস), রামকৃষ্ণপুরের শাহ নেয়ামত (৩৬), আন্দারকোটার মাসুদ কবীর (৪৪), সিংহঝুলী বলিদাপাড়ার সজিব (১৬), গুয়াতলীর হারুন (৪৮), স্বরুপদাহ গ্রামের সোহারাব (২৮), পাতিবিলারাপন (১২), জলকা-মাধবপুরের মিলন ডাক্তারের মেয়ে অনিভা (১১), কাবিলপুরের আব্দুল ছাত্তারের মেয়ে লামিয়া (১২), বেড়গোবিন্দপুরের লাল্টু (১৪), দোগাছিয়ার মাসুরা (৩৫), টেঙ্গরপুরের হাজেরা (৪৭), পুড়াহুদার রেহেনা (২৭) ও আকলিমা (৬০), ইছাপুরের মমতাজ (১৮), বকশিপুরের আকলিমা (২৮), টেঙ্গরপুরের নাজমা (৩৫), বলিদাপাড়ার শাহানা (৩০), আন্দারকোটার ফাতেমা (২৬), কুষ্টিয়ার (রামভাদ্রপুর) ছাবিনা (৩০), খাঁপুরের শাহিদা (২৫), গুয়াতলীর আমেনা (৫০), শার্শার রাবিয়া (৩৭), খড়িঞ্চার মনিরা (১৫), সিংহঝুলীর ছবি (২৯), চৌগাছা শহরের মনিরা (৩৭) এবং আসমা (৪৫) এবং চৌগাছা থানা পাড়ার মফিজুল আলম (৪২)।