রেলের অবৈধ স্থাপনা ও জায়গা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সারা দেশে এ অভিযানে ইতোমধ্যে শত কোটি টাকার জায়গা উদ্ধার হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বে রেল প্রশাসনকে আরও গতিশীল করতে মাঠের প্রশাসন কাজ করছেন।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ অনিয়মকারীরা ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে রেলওয়েসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুদক, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত কমিটির তদন্ত চলছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ অবস্থায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩টি থানার সীমান্তে অবস্থিত রেলের ভূমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা মাদকের স্পট ও চোরাকারবারিদের অভয়ারণ্য স্ক্রাব কলোনী।
রবিবার (২২শে জানুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ হোসেন রানার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে।
এসময় ৩৬২টি স্থাপনা উচ্ছেদ পূর্বক ১০৫০ জন প্রায় অবৈধ দখলদারকে সরিয়ে ১দশমিক ০১ একর জায়গা উদ্ধার করে রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, সিএমপি’র আকবরশাহ থানাধীন এই স্ক্রাব কলোনীটি খুলশী ও পাহাড়তলী সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে অপরাধ দমনে হিমসিম খেতে হচ্ছিলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। অপরাধ নিধন করতে গিয়ে এই পর্যন্ত বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছে র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা, বাদ যাইনি সাংবাদিকও।
এলাকাবাসীর সুত্রে জানাযায় এক সংবাদকর্মী সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেলে তারা সাংবাদিকের ওপরও হামলা চালায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক নগরীর খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে হামলায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তিনজনকে আটক করে খুলশী থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে স্ক্রাব কলোনি উচ্ছেদের দাবিতে পাহাড়তলী এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় ছাত্রসমাজ, যুব সমাজ, বিভিন্ন সমাজ কল্যান, মসজিদ কমিটি, মন্দির কমিটি, শ্রমীকলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ম্যানেজার কার্যালয় চত্বর ঘেরাও করে মানববন্ধন করে প্রীতিলতা স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। স্মারকলিপি প্রদান করা হয় পুলিশ কমিশনার ও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়।
উচ্ছেদ কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে সরাসরি উপস্থিত হয়ে উচ্ছেদ অভিযান তদারকি করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান। উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ মোস্তাইন হোসেন।