টালিউড ও বলিউডের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী পাওলি দাম। অভিনয়ের নৈপুণ্যতায় যেন অভিনেত্রীর কাছে হেরে গেছে তার বোল্ডনেস। সেই সঙ্গে নিন্দুকদেরও দেখিয়ে দিয়েছেন শরীরের রং আসলে কিছু নয়, যোগ্যতাটাই আসল। প্রমাণ করেছেন চেহারা যেমনই হোক না কেন, যোগ্যতা থাকলে সাফল্য আসবেই।
প্রায় ১৭ বছর আগে অভিনয় জগতে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু তার এই শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না। চলার পথে বহুবার শিকার হয়েছেন বডি শেমিংয়ের। শুনতে হয়েছে নানা তিরস্কার। সম্প্রতি সেই সময়ের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন পাওলি। অভিনেত্রী বলেন, আমি যখন চলচ্চিত্রে আসি তখন ‘মেয়েটা কালো, নাকটা বাঁকা, শুধু এ দুটো প্রশংসা পেয়েছি।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
কিন্তু যত কিছুই হোক না কেন আমি হাল ছাড়িনি। সেই সময়ে মানুষের ধারণা ছিল, ফর্সা রঙের অধিকারীরাই শুধু প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন। যার কারণে বেশিরভাগ সময়ই নায়িকার বোনের চরিত্র পেতাম। কিন্তু আমার আত্মবিশ্বাস ছিল প্রখর। কিন্তু ‘কালবেলা’ ছবিটি রিলিজের পর মানুষ আমাকে গুরুত্বের দেওয়া শুরু করেন। আমার শরীরের রং আকস্মিকভাবে বদলে যায়! সেই সঙ্গে আমার অস্বাভাবিক চেহারাও আমার জন্য কাজ করে।
তবে বডি শেমিং নিয়ে যারা খুব বেশি চিন্তিত, তাদের উপদেশ দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘যাদের টার্গেট বডি শেমিং করা তাদের জন্য আমার পরামর্শ- এসব বাদ দিয়ে নিজের লক্ষ্যে মন দিন, কাজে মনযোগী হন। অভিনেত্রী আরও বলেন, অনেকেই বলেন আমি মোটা হয়ে গেছি। এত মোটা হওয়ার পরও কেন শর্ট ড্রেস পরেছি। আসলে এসব শুনতে শুনতে এখন আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি।
আমি মোটা না পাতলা হব সেই সিদ্ধান্ত দেওয়ার তুমি কে? কারও ওজন, গায়ের রং বা উচ্চতা দেখে মানুষ কেন মানুষকে বিচার করে? অনেকের কাছ থেকে এমনও শুনতে হয়েছে যে, আমার শরীর নাকি ঢেকে রাখা উচিত। কারণ আমার সেরকম ফিগার নেই। কিন্তু আমি তাদের নিন্দা করছি না। বরং আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। আমি জানি কীভাবে ছোট পোশাক পরতে হয়।
খবর : টাইমস অব ইন্ডিয়া