চলতি বছরের হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। হজ প্যাকেজ ১-এ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। আগের বছরের চেয়ে যা ২০ হাজার ৫৭১ টাকা বেশি। প্যাকেজ ২-এ ১২ হাজার ৬৪১ টাকা বাড়িয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
চলতি বছর দিয়ে গত ৫ বছরে হজের ব্যয় বেড়েছে জনপ্রতি ৬৩ হাজার ৭৫৫ টাকা। প্রতি বছর গড়ে বেড়েছে ১২ হাজার ৭৫১ টাকা।
সৌদি আরবে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস চার্জ ও ভাড়া বাড়ানোর কারণে এ ব্যয় বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।
বাড়তি ব্যয়ের হজ প্যাকেজ অনুমোদনের জন্য আজ (সোমবার) অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিসভা বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ আগস্ট হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ১৯৮ জন যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায়। বাকিরা ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হজ এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সৌদি আরবে বিভিন্ন খাতের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। শুধু যাতায়াতেই বেড়েছে ১১ হাজার টাকা। এছাড়া বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন খাতেও ব্যয় বেড়েছে। চলতি বছর বিমান ভাড়া ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং হাব বিরোধিতা করায় গতবারের চেয়েও বিমান ভাড়া ১০ হাজার ১৯১ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে বলা যায়, এবার হাজীদের প্রায় ২০ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। হজ প্যাকেজে যেটুকু বেড়েছে, তা বাড়ানো হয়েছে সৌদি সরকারের জন্য। ওই দেশের সরকার বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও সেবার দাম বাড়িয়েছে।’