চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে উমেদুল হোসেন (৩২) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঠাকুরপুর সীমান্তে জিরো পয়েন্টের ৮৯নং পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, উমেদুল ইসলামকে সীমান্তের ৮৯ নম্বর পিলারের বিপরীতে ভারতীয় অংশে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। তিনি ঠাকুরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে, বিএসএফ দাবি করেছে উমেদুল গরু আনতে ভারতে গিয়েছিল। কিন্তু এমন দাবি নাকচ করে বিজিবি পরিচালক বলেন, “গরু আনতে যাওয়ার কথা সঠিক নয়। চুয়াডাঙ্গার কোনো সীমান্তপথে গরু আসছে না। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করার দাবি তুলেছি। লাশ ফেরত চেয়েছি। অন্যায়ভাবে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
অন্যদিকে, বিএসএফের মহাপরিচালক দাবি করেছেন যে, তার সৈন্যদের সর্বশেষ উপায় হিসেবে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে চার দিনের মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফের মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা বন্ধে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপরাধীদের কোনো দেশ নেই, সীমান্তের দুই পাশেই তাদের অবস্থান।’
প্রসঙ্গত, বারবারই সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি হত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।