টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নী (২২) এর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর চুক্তির টাকা না পেয়ে চিৎকার করায় তাকে হত্যা করে দুই যুবক। গতকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর এ তথ্য জানায় পুলিশ। খুনের সঙ্গে জড়িত দুই ঘাতককে এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি শেখপাড়ার টোকন আলীর ছেলে মানিক (২২) এবং একই এলাকার মহিদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ মহসিন ওরফে স্বপন (১৯)। তাদের কাছ থেকে মুন্নীর ব্যবহৃত মোবাইল ও একটি স্বর্ণের আংটিসহ বেশকিছু আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানিক ও স্বপনের সঙ্গে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হন টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নী। চুক্তি অনুযায়ী গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পিটিআই মোড়ে অপেক্ষা করতে থাকেন মুন্নী। স্বপন মোটরসাইকেলযোগে মুন্নীকে নিয়ে যান চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের নিকটবর্তী বোয়ালমারী শ্মশান মাঠের একটি পানবরজের কাছে। সেখানে মুন্নীর সঙ্গে প্রথমে স্বপন ও পরে মানিক শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরবর্তীতে চুক্তির ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে দুইজন মিলে মুন্নীকে পাঁচ হাজার টাকা ধরিয়ে দেন। এতে মুন্নী ক্ষুব্ধ হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এসময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মুন্নীকে হত্যা করে পানবরজের ঝোঁপের ভেতর লাশ রেখে দুইজনই পালিয়ে যান। মুন্নীকে হত্যার পর তার ব্যবহৃত মোবাইলটি নেন স্বপন এবং স্বর্ণের আংটিসহ অন্য জিনিসগুলো নেন মানিক।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা গনমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে হাজরাহাটি গ্রামের মাঠ থেকে মানিক ও স্বপনকে গ্রেফতার করে। মুন্নীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে তারা জবানবন্দি দিয়েছেন। দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি-বোয়ালমারী গ্রামের মাঝামাঝি স্থান থেকে খালেদা আক্তার মুন্নীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আলমডাঙ্গার ভাঙবাড়িয়া গ্রামের মৃত খোয়াজ আলীর মেয়ে। মুন্নী স্বামী পরিত্যাক্তা এবং টিকটকার ছিলেন।
আজ ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:২১ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি