চীনে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ৮ জন। খবর-বিবিসির।
আজ রোববার (৬ আগস্ট) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের সংলগ্ন প্রদেশ হেবেইয়ে প্রদেশে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।বন্যায় হেবেইয়ে প্রদেশের অধিকাংশ এলাকা ডুবে গেছে। সড়কগুলো রীতিমতো নদীতে পরিণত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ১ কোটির বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে। যারা বাড়িঘর ছাড়েননি তাদেরকে নৌকার মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোতে ‘লাল সতর্কসংকেত’ জারি করেছে।
দেশটির আবহাওয়া অফিস বলছে, শুধু রাজধানী বেইজিংয়েই গত সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ ১৪০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছে।
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের আশপাশের এলাকা। বন্যার পানি ঢুকেছে অনেক এলাকার বাড়িঘরে, ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট। পানির তোড়ে ভেসে গেছে অনেক গাড়ি। মাইলের পর মাইল ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। হঠাৎ এমন বন্যা দেশটির সাধারণ মানুষের জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
গ্রীষ্মকালে বেইজিংয়ে সাধারণত মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হয়। তবে গেল কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদিও চলতি মৌসুমে রেকর্ড-ভাঙা উচ্চতাপমাত্রা দেখেছে বেইজিং। এছাড়া চীনের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায়গুলোতে ভারি বৃষ্টি খুব কমই দেখা যায়। গেল মাসের শুরুর দিকে দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় চংকিং অঞ্চলে বন্যায় অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি হয়। ওই সময় দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশ থেকে ৫ হাজার ৫শ ৯০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক বাসিন্দা বাড়িঘর ও যানবাহনে আটকা পড়েন। হতাহত হয়েছে প্রায় দেড়’শ মানুষ। চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। ওই বছর বন্যায় চীনে ৪ হাজার ১৫০ জন প্রাণ হারান।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর গ্রীষ্মে চীনের বিশাল অংশজুড়ে বন্যা দেখা দেয়। তবে চলতি গ্রীষ্মে দেশটির উত্তরাঞ্চল ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। উত্তরাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে শুধুমাত্র জুলাই মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি