চীনের সাথে সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান। তাই এ কাজে চীনের আরও আন্তরিক ও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি চীনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে সরকার আগ্রহী।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ তেমন কাজে আসেনি উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পাঠানোই একমাত্র সমাধান। এ কাজে বাংলাদেশ চীনের আরও আন্তরিক ও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে। এ সময় চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের সব সঙ্কটে পাশে ছিল চীন। ভবিষ্যতেও থাকবে। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কোভিড কিংবা জুলাই আন্দোলনেও চীনা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা দেশ ছেড়ে যাননি। আমরা বাংলাদেশের সব সঙ্কটে পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো। আমাদের প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সব ধরনের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
সেমিনারে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্তবতায় চীনের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে বুঝতে হবে। চীনকে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদার উল্লেখ করে দেশটিকে বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ৫০ বছরে সম্পর্কের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি আমরা। নিজস্ব, আঞ্চলিক ও বিশ্ব বাস্তবতায় সম্পর্ককে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ২০২৩ সালে চীন বাংলাদেশকে চারশ’ কোটি ডলার সহযোগিতা করেছে। আমার মনে হয়, কর্ণফুলী টানেলের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় শিল্পকারখান গড়ে তুলতে চীনের এগিয়ে আসা উচিত।
সামনের দিনগুলোতে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশার কথা জানান সেমিনারের বক্তারা।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম