বাংলাদেশ চিনের করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েও পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চিনের একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা তৃতীয় দফার ট্রায়ালের জন্য বিকল্প দেশের সন্ধান শুরু করে দিয়েছে। আর তাই করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল নিয়ে বন্ধু চিনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, পাকিস্তানে সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনের ক্যানসিন বায়ো। ইতিমধ্যেই ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্যানসিন বায়ো ও বেজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই ওই ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে।
চিনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের সঙ্গে পাক সরকারের যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, করাচির ইন্দাস হাসপাতালে ওই ট্রায়াল চালানো হবে। ৫৬ দিন ধরে চলবে ট্রায়াল। ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে ৫৬ দিনে করোনা ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ প্রয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার জন্য ২০০ জন নাম নথিভুক্ত করিয়েছে। নথিভুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।
চিনের যে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা পাকিস্তানে করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল চালাবে, সেই ক্যানসিন বায়ো ইতিমধ্যেই চিন, রাশিয়া ও আর্জেন্টিনায় ট্রায়াল চালিয়েছে। সৌদি আরবেও ট্রায়াল চালাতে চলেছে।
পাকিস্তানে এই প্রথম কোনও করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানো হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই গোটা এশিয়াতেই সাফল্যের সঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করেছে পাকিস্তান। প্রথম দিকে করোনার বেলাগাম সংক্রমণ শুরু হলেও, তাতে রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে ইমরান খান সরকার।