বিনোদন ডেস্কঃ নিখোঁজের একদিন পর চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৪৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে। গেল দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন শিমু ৷ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করে র্যাব। গতকাল দিনগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
শিমুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, নিখোঁজের পর অভিনেত্রীর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন আমার কাছে ছুটে আসেন। বলেন, শিমুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আমি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করি তথ্যের জন্য। পরে খোকন মিটফোর্ড হাসপাতলে গিয়ে শিমুর মরদেহ শনাক্ত করে আমাকে ফোন করে জানায়।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. আবু সালাম মিয়া বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলাম শিমু নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়।
এদিকে নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেলসহ দুইজনকে র্যাব গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন নায়ক জায়েদ খান। রক্তমাখা গাড়িও উদ্ধার হয়েছে বলে দাবী তার। এ ঘটনায় দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। নিহতের ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নায়ক জায়েদ খান।
শিমুর ভাই জানান, প্রথম আসামি আমার বোন জামাই নোবেল। সে এবং ফরহাদ নামের একজন এ কাজ করেছে। তাদেরকে র্যাব গ্রেফতার করেছে, কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি আমাদের হেল্প করেছেন। এর আগে আমার কাছে লাশ শনাক্ত করার জন্য একটা ফোন আসে কেরাণীগঞ্জ থেকে। সেখানে গিয়ে আমি নিজে আমার বোনের লাশ শনাক্ত করেছি।
ভগ্নিপতিকে সন্দেহ করা প্রসঙ্গে খোকন বলেন, তার গাড়ির মধ্যে রক্ত, তারা আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত ছিল না, এই সময়ের মধ্যেই লাশ ফেলে দিছে, ড্রাইভার সব বলছে। আমার ভগ্নিপতি অ্যাডিক্টেড, আমি আর কিছু বলতে চাই না।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন শিমু। এরপর ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের প্রায় ২৫ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এছাড়া টুকটাক নাটকেও কাজ করতেন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ফ্যামিলি ক্রাইসিস নামে একটি ধারাবাহিক নাটকেও কাজ করেছেন নায়িকা শিমু।