বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় তার প্রভার পড়েছে দেশের নিত্যপণ্যের বাজারে। ইতোমধ্যে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া দেশের সব স্থানে চলমান ও অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
তাই শপিং মল কিংবা দোকানপাট যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে, সেই আশঙ্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য দ্রব্য মজুত করতে শুরু করেছে জনগণ। এতে রাজধানীর কাঁচাবাজারসহ সুপার শপগুলোতে কেনাকাটার পরিমাণ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এই সুযোগে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। রাজধানীর বিভিন্ন সুপারশপ ও কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর ফার্মগেটের পূর্ব রাজাবাজারের বাসিন্দা আবদুল খালেক কারওয়ান বাজারে বাজার করার জন্য এসে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার যে অবস্থা আমাদের দেশেও যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা-ই আগেভাগেই নিত্যপণ্য একটু বেশি করে কিনে রাখছি। বলা তো যায় না, ভবিষ্যতে কী হবে।মিরপুরের কাজীপাড়া এলাকার স্বপ্ন সুপার শপের কর্মী আনোয়ার পারভেজ বলেন, গত দুই তিন ধরে অন্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকায় ক্যাশ কাউন্টারে লাইন পড়ে যায়। কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী রফিকউল্লাহ খন্দকার জানান, করোনার কারণে এখন পাইকারি বাজারেই চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে মাস দেড়েক পর নতুন ধান উঠলে দাম আবার কমে যাবে।’বর্তমানে মিনিকেট (খোলা) চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, আটাশ ৪২ টাকা, পারিজা ৩২ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা। তবে মানভেদে এইসব চালের দাম বিভিন্ন বাজারে কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা ব্যবধানে বিক্রি হতে দেখা গেছে।উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এক লাখ ৮৮ হাজার ১৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আজ পর্যন্ত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে সাত হাজার ৪৯৭ জনের। ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে মোট ১০ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে প্রথম দফায় আক্রান্ত তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।