পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফলো অনের শঙ্কায় থাকলেও লিটন-মিরাজের দৃঢ়তায় সেটা পেরিয়ে গেছে টাইগাররা। মিরাজ ফিরলেও চার হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ অসাধারণ সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস।
লিটন দাস সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২২ সালের ২৩ মে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি ২৪৬ বলে ১৬ চার ১ ছক্কায় খেলেছিলেন ১৪১ রানের ইনিংস। পরের ১৮ ইনিংসে ৫টি ফিফটি করলেও তিন অংকে যেতে পারেননি। এই সময়ে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৭৩। আজ লিটন ১৭১ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ আট উইকেটে ২২৩ রান। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান করা পাকিস্তানের চাইতে এখনো ৫১ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ সকালের প্রথম ১০ ওভারের মাঝেই হারায় ছয় উইকেট। রান যোগ করতে পারে মাত্র ১৬। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের শক্ত জুটি শতক পূরণের সঙ্গে সঙ্গে ফলো অন এড়ায় বাংলাদেশ। ফলো অন এড়ানোর পরপরই ফিফটির দেখা পান লিটন। অর্ধশতকের দেখা পান মিরাজও।
কিন্তু চা বিরতির একটু আগে ঘটে ছন্দপতন। যেখানে জোড়া আঘাত হানেন খুররাম শাহজাদ। প্রথমে ৭৮ রান করা মিরাজকে কট অ্যান্ড বোল্ডের মাধ্যমে সাজঘরে ফেরান খুররাম। এর মাধ্যমে ভাঙে লিটন-মিরাজের ১৬৫ রানের জুটি। টেস্ট ক্রিকেটে সপ্তম উইকেটে এটাই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের জুটি। এর আগে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১৯৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মিরাজ। এর কিছু পরই তাসকিন আহমেদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন খুররাম। তার বিদায়ের পরই চা বিরতির ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। বিরতির পর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন লিটন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৪২ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি