নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুষ্টিয়া জেলায় কর্মরত আট পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায়। এ পর্যন্ত মাদক সেবন করে সন্দেহভাজন এমন ১২ জন পুলিশকে ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন উপপরিদর্শক (এসআই), দু’জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং বাকিরা কনস্টেবল পর্যায়ের বলে জানা গেছে। এছাড়া এক সার্জেন্টসহ দু’জনের বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই নাঈম মাহমুদ, কনস্টেবল বিপ্লব হোসেন, কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল নাহিদ হাসান, কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সহেন্দভাজন ও গোয়েন্দা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের মে মাসে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানো হয়। পরীক্ষায় এসব সদস্যের নিয়মিত মাদক সেবনের রিপোর্ট আসে। এরপর গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১১ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে ৯ জনই মাদক সেবন করতেন বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়। পরীক্ষায় দু’জন এসআই ও দু’জন এএসআই মাদক সেবনে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এছাড়া এক এসআইয়ের কাছে মাদক পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট রয়েছেন। মাদক সেবনকারী এসব পুলিশ সদস্য বিভিন্ন থানা ও ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, মাদকের সঙ্গে কোনো আপোস নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিও মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কোনো মাদক সেবনকারী থাকতে পারবে না। ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ৮জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।