চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আবু সাঈদ আল জিহাদ এর প্রতিবেদনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনা-(কোভিড-১৯) এর নমুনা পরীক্ষার গতি ধীর হওয়ায় এবং সামাজিক দুরত্ব না মানায় জেলায় করোনা সংক্রামণের ঝঁকি বাড়ছে।
এ জেলার মোট জনগোষ্টী প্রায় ১৭ লাখ। কিন্তু জেলার ৫ উপজেলা থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে মাত্র ৪০টি করে নমুনা। আবার এ নমুনার ফলাফল আসতেও বিলম্ব হচ্ছে।তবে আশার কথা হচ্ছে নারায়নগঞ্জ থেকে ফিরে আসা যে ২জন ব্যাক্তি করোনা পজিটিভ ছিলেন ,তারা সুষ্থ হবার পথে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপড়তার মধ্যেও জেলাবাসি মানছেনা সামাজিক দুরত্ব।বিভিন্ন মোড় গুলোতে পুলিশ তৎপর হয়ে অভিযান চালালেও থামানো যাচ্ছে বাজার সহ অযথা বাসার বাইরে ঘোরাফেরা। বিশেষ করে জেলার বিভিন্ন ব্যাংক শাখায় গ্রাহকের উপচেপড়া ভীড় সচেতন জনমনে শংকা বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাঁচা বাজার শহরের স্টেডিয়াম মাঠে স্থানান্তর করা হলেও সেখানেও মানা হচ্ছেনা সামাজিক দুরত্ব।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকে মাকে নিয়ে আসা এক গ্রাহক জানান, তিনি বৃদ্ধ মাকে নিয়ে সকাল ১০ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন বিধবা ভাতার জন্য।কিন্তু এখানে অন্তত ৩ শতাধিক গ্রাহক রয়েছে যারা কোন সামাজিক দুরত্ব মানছেননা।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক গোলাম মোস্তফা মামুন,নওগাঁর ডিসি,এসপি সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আক্রান্তের বিষয়টি তুলে ধরে জানান, করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত করোনা রোগীর প্রকৃত সংখ্যা বের না করা হলে ভয়াবয় অবস্থা হতে পারে জেলায়।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সাজর্ন জনাব মোঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরি জানান, জেলায় ২ জন নারায়নগঞ্জ ফেরত করোনা রোগী সনাক্ত হবার ১৪ দিন পর তাদের প্রথম দফায় করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষায় রির্পোট নেগেটিভ আসলে তাদের হোম কোয়ারেনটাইন থেকে মুক্ত করে দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান,বর্তমানে জেলায় হোম কোয়ারেনটাইনে আছেন ২ হাজার ৫শ জন। রবিবার পর্যন্ত জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭৬ জনের।এর মধ্যে রির্পোট আসেনি ৫৫ টি নমুনার এবং রাজশাহীর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে ৫০ টি নমুনা।
সিভিল সার্জন জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ বৃদ্ধি করা খুবই জরুরী মত দিয়ে তিনি আরও জানান, জেলায় ৫ উপজেলার ১৭ লাখ জনগোষ্টীর মধ্য থেকে মাত্র ৪০টি নমুনা সংগ্রহ একেবারেই নগন্য।