চাঁদপুরের মেঘনার চরে ৬০০ একর জমির ওপর ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র। প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাব লিমিটেড। এটি নির্মাণ করা হচ্ছে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন মৌজার দাসাদী সংলগ্ন মেঘনা নদীর তিনটি চরে।
গতকাল সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি সভা মেঘনার তীরে গড়ে উঠা চরে প্রকল্প এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাবের পরিচালক রাজিব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, নির্মাণ শুরু হতে যাওয়া এই পর্যটনকেন্দ্রে থাকছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের স্মৃতিসংবলিত ভাস্কর্য, জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের জাদুঘর, পানির ওপর ভাসমান কটেজ, চার কিলোমিটার দীর্ঘ কেবল কার, ট্র্যাডিশনাল কটেজ, স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট, পাঁচতারা হোটেল, থিম পার্ক, রিভার ক্রুজ, স্পিডবোট, হেলিকপ্টার, কনভেনশন হল, থিয়েটার, মিউজিয়াম, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো সেন্টার, মার্কেট, ফুড কোর্ট, জিমনেসিয়াম, ইনডোর এবং আউটডোর গেমস, ক্রিকেট অ্যারোনা, সুইমিং ক্লাব, ওয়াটার রাইড, হসপিটাল, পার্টি সেন্টার, হলি কর্নার, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্টাফ রেসিডেনশিয়াল এরিয়া, অ্যাগ্রো ট্যুরিজম, গ্রিন এনার্জি, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ প্রধান প্রধান শহরের সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা এবং পর্যটন ডিপ্লোমা কোর্স স্কুল, যেখান থেকে প্রতিবছর দুই হাজার ছাত্র-ছাত্রী বের হবে, যারা পর্যটনশিল্প বিকাশে ভূমিকা পালন করবে।
এ প্রসঙ্গে ব্লু রিভার আইল্যান্ড রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সাগর মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন লক্ষাধিক লোকের ভ্রমণের ব্যবস্থা ও ২০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের সুবিধা থাকবে। প্রায় ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পাবে।