চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ভারতে তাপপ্রবাহ ও বজ্রপাতের মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো বেড়েছে। এ সময় বজ্রপাতের কারণে ৯০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় দেশটির ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে উত্থাপন করা ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে জানা যায়, মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ভারতে তাপপ্রবাহ আট গুণ বেশি ছিল। সব মিলিয়ে বছরে ২৭ বার তাপপ্রবাহ এবং ১১১ বার বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় বজ্রঝড় পাঁচ গুণের বেশি বেড়েছে এবং এই সংখ্যা ছিল ২৪০।
প্রতিবেদনে আরও উঠে আসে, গত নভেম্বর পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনার কারণে চলতি বছর ২ হাজার ১৮৩ জন মারা গেছে, যা ২০১৯ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।
মন্ত্রণালয়টির দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, বজ্রপাত, বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাত এ বছর ৭৮ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী। প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের দেশটিতে গত মার্চে এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল এবং এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন দূষণকারী দেশ ভারত, তবে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এখানে মাথাপিছু নির্গমনের পরিমাণ কম বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে, গত আগস্টে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ভারতে বর্ষা মৌসুমে তাপমাত্রা চলতি শতাব্দীতে বেড়েছে এবং দেশটিতে ভবিষ্যতে আরও ঘনঘন তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সালের পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী দাবদাহে অন্তত ১ লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।