নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর হাতিয়া’র ভাসানচরে চতুর্থ দফায় পৌঁছেছেন ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে ৪৮৫ জন নারী , ৫৭৭ জন পুরুষ ও ৯৪৮ জন শিশু রয়েছেন।
আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে দুপুর ২টার আগে ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছান।
এর আগে, গতকাল রোববার সড়ক পথে তারা চট্রগ্রাম এসে পৌঁছান। রাতে তাদের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়। চতুর্থ দফায় ধাপে ধাপে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হবে বলে জানা গেছে।
ভাসানচর থানার ওসি মো. মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়িতে করে ওয়্যার হাউজ এ সমবেত করে ব্রিফ প্রদান করা হয়। পরে ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে তিন দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।
উল্লেখ্য, হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে ১ লাখ রোহিঙ্গা বাসযোগ্য করা হয়েছে।