প্লাজমা থেরাপি নিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম করেনামুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহযোগি অধ্যাপক ডা. সামিরুল ইসলাম বাবু । রোববার (৩১ মে) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে এ তথ্য জানা গেছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনাকে জয় করলেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. সামিরুল ইসলাম বাবু ১১ দিন বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে গত ২১ মে তাঁকে চমেক হাসপতালের একটি কেবিনে আইসোলেশনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।২৬ মে সকালের দিকে তাঁর অক্সিজেনের সেচুরেশন কমে যায়। তখন তড়িঘড়ি করে অক্সিজেনের চাপ বাড়ানো হয়।
এরপরই চিকিৎসকরা ওইদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. সামিরুল ইসলামের শরীরে ২৫০ মিলিলিটার প্লাজমা দেওয়া হয় । সদ্য করোনা যুদ্ধে জয়ী মো. তারেক নামে এক ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তা এই চিকিৎসকের শরীরে দেওয়া হয়। এর দুই দিন পর সিএমপির করোনাজয়ী পুলিশ কনেস্টেবল অরুন চাকমার শরীর থেকেও প্লাজমা দেওয়া হয়।
চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষের নেতৃত্বে চিকিৎসাধীন আছেন করোনা আক্রান্ত ডা. সামিরুল ইসলাম। ডা. সমিরুলকে কোভিড-১৯ গাইডলাইন অনুযায়ী সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।