ডিবিএন ডেস্কঃ এবার চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা ফেরদৌসি বেগম (৬০) নামে এই নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হবার পর তার শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করেছেন চমেকের চিকিৎসকরা। গত চার দিন ধরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চট্টগ্রামে এই প্রথমবারের মত একজন করোনা রোগী ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ (কালো ছত্রাক) আক্রান্ত হবার খবর নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির।
জানা যায়, গত ২৫ জুন থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন ফেরদৌসি বেগম। গত ৩ জুলাই তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ১৩ জুলাই তিনি করোনা নেগেটিভ হলেও তার নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পরে স্বজনরা তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসকরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গতকাল (বুধবার) এই রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয়। ওই নারীর স্বামী পাঁচদিন আগে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন।
ফেরদৌসি বেগমের মেয়ে তাহমিনা বেগম জানান, ১৩ জুলাই তার মায়ের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। ১৫ জুলাই হঠাৎ তার দাঁতে ব্যথা শুরু হলে তাকে একজন ডেন্টিস্টের কাছেও নেওয়া হয়। পরীক্ষা রিপোর্ট দেখে ডাক্তার সন্দেহ করেন, রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত।
এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বায়োপসি রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত।
উল্লেখ্য, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক জনের শরীরেও ছাত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়। এর পর গত ১৪ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ব্লাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত আর একজন রোগী শনাক্ত হয়। এ ছাড়া ভারতে গিয়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন দেশে ফিরেছেন এমন অন্তত দুইজনের শরীরে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত হয়েছে।