চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরম নৈরাজ্য চলছে ওষুধ বিক্রিতে। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সব ধরণের ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত। এ অবস্থায় গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ওষুধ সিন্ডিকেটের চিহ্নিতের পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে সিএমপি।
করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ওষুধ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য। ১২ হাজার টাকার অক্সিজেন সিলিন্ডার ৩০ হাজার টাকার বেশি। সেই সাথে ২০ টাকার ডক্সিক্যাপ ৫৫ টাকা, ৭৫০ টাকার আইভেরা ট্যাবলেট ২৪শ টাকা, ৫০ টাকার স্ক্যাবো ট্যাবলেট ৮শ টাকা, ২৫ টাকার জিঙ্ক ৫০ টাকা, ২০ টাকার সিভিট ৫০ টাকা, ৪৮০ টাকার মোনাস ট্যাবলেট ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন সভাপতি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, অনুমোদন ছাড়া ওষুধের দাম বাড়ানো যায় না, তবু এখানে কোন লাগাম নেই।
ড্রাগিষ্ট অ্যান্ড কেমিষ্ট এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক আশীষ ভট্টাচার্য বলেন, ওষুধগুলো এক হাত দুই হাত ঘুরে আসার কারণেই কিন্তু বাজারটা উর্ধ্বগামী।
এদিকে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ওষুধ সিন্ডিকেট সদস্যদের চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি’র এ কর্মকর্তা। সে সাথে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে ঔষধের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানোর।
সিএমপি উপ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, আমরা এধরণের কোন কার্যক্রম পেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চট্টগ্রামে বর্তমানে প্রায় ৩৭শ করোনা রোগী রয়েছেন। সেই সাথে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরো কয়েক হাজার মানুষ।