স্টাফ রিপোর্টারঃ আরাফাত আহমেদ রনি
শনিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় তরুনীকে (১৯) আশ্রয়ের নাম দিয়ে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠে।
জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়া একটি মেয়ে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম আসেন। তাঁর থাকার কোনো জায়গা ছিল না। তখন মতিঝর্ণা এলাকার মনির আহমদ কৌশলে মেয়েটিকে আশ্রয় দেবে বলে শুক্রবার তাঁর বাটালি হিলের বাসায় নিয়ে যান। শনিবার সকালে মনিরের স্ত্রী গার্মেন্টেসে চলে গেলে মনিরসহ পাঁচজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে মেয়েটি পুলিশকে জানান। তিনি বর্তমানে ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার তরুণী (১৯) ও তার স্বামী রবিউল আলম ইতিপূর্বে মতিঝর্ণা শিউলির বাড়ীতে ভাড়া থাকত । প্রায় মাস খানেক আগে তারা বাসা ছেড়ে দেশে চলে যায়। দেশে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হলে স্বামী স্ত্রীর সাথে অভিমান করে, যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অতঃপর পূর্ব পরিচিত মনির তরুণী এর স্বামী রবিউল মতিঝর্ণায় আছে এমন সংবাদ দিয়ে ভিকটিমকে নিয়ে আসে। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মনিরের বাসায় আসে। মনিরের পরিবারের সাথে তরুণীর পুর্ব পরিচিত বিধায় তরুণীকে মনিরের স্ত্রী বাসায় রাখে এবং মনিরের স্ত্রীর সাথে রাত্রীযাপন করে। মনিরের স্ত্রী শনিবার ( ৭ নভেম্বর) সকালে গার্মেন্টসে চলে গেলে কুচক্রী মূল অভিযুক্ত মনির তরুণীকে একা পেয়ে খারাপ কাজের প্রস্তাব করে । তরুণী রাজী না হলে তাকে গলায় ছুরি ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । অতঃপর তরুণী তার স্বামী সন্ধানে বাসা থেকে বাহির হয়। বেলা অনুমান ১২:০০ টায় তরুণী এর ফেলে যাওয়া বোরকা নিতে পুনরায় মনিরের বাসায় যায়। তখন এলাকার কতিপয় বখাটে (মুন্না, মাসুদ, দিদার, সোহেল সহ ০৮ জন) তরুণীকে খারাপ অপবাদ দিয়ে আসামী মনিরের সাথে বিবাহ দিতে চায়। তরুণী রাজী না হলে আসামী মনির ইতিমধ্যে ৬/৭টি বিবাহ করেছে জনশ্রুতি আছে। স্থানীয় বখাটেরা তরুণীকে মারধর করে এবং তার কাছে থাকা নগদ ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তরুণী নিজে সদর হাসপাতালে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে তরুণীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তরুণী বাদী হয়ে উক্ত মনির সহ মোট ০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে মূল আসামী মনিরকে ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা সহ ডবলমুরিং থানাধীন রেলবিট এলাকা থেকে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট আসামী মাসুদ, সোহেল ও দিদার সহ মোট ০৪ জনকে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে খুলশী থানা পুলিশ। যেহেতু মুল আসামী মনির এর কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা করার বিষয় টি চলমান রয়েছে।