চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় পুলিশের এক সোর্সকে কেন্দ্র করে মারুফ নামের এক তরুণ অত্মহত্যা করেছে।বাদামতলী মসজিদ গলি এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোর্সকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতে পুলিশের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এবং পুলিশের হাতে মা-বোনের লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা সহ্য করতে না পেরে মারুফ আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে আগ্রাবাদের মসজিদ গলির মারুফের বাড়ির পেছনে পুলিশের এক সোর্সকে ঘুরাফেরা করতে দেখে আত্মহত্যাকারী মারুফসহ কয়েকজন যুবক চোর ভেবে গণপিটুনী দেয়।
একপর্যায়ে সেখানে সাদা পোষাকের পুলিশ এসে ধরপাকড় শুরু করলে মারুফ পালিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ মারুফকে না পেয়ে তার মা-বোনকে ধস্তাধস্তি করে আটক করে নিয়ে যায়। বিষয়টি মারুফ সহ্য করতে না পেরে চাচার ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে ডবলমুরিং থানা পুলিশ বলছে, মারুফের মা বোনকে আটক করা হয়নি। তাদেরকে চিকিৎসা দিতে মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে মারুফ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন বলেন, ‘মারুফ নামের একজন তরুণ আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.হেলালকে সাময়িকভাবে ক্লোজড করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলতে গেলে, তারা এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে আসামি ধরে টাকা আদায়ের অভিযোগও তুলে ধরেন।তারা আরো জানান অধিকাংশ সময় এসআই হেলাল সাদা পোশাকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতো এবং থানায় লোকজন নিয়ে আটকে রেখে টাকা আদায় করতো ।
অনাকাঙ্খিত এ ঘটনা তদন্ত করার জন্য সিএমপি’র পক্ষ থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ও ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত)।