বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের প্রথম ম্যাচে সহজ জয়ে শুভ সূচনা করেছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪৫ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান নেন সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফী। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মোটে ৮৯ রান করতে পারে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ ওভার ৩ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেটের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এই ব্যাটসম্যান ৩ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। শান্তর সঙ্গী ওপেনার কলিন অ্যাকারম্যান মাত্র ১ রান করে মৃত্যুঞ্জয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফেরেন।
সিলেটের পক্ষে তিনে নেমে শান্তর সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে থাকা জাকির হাসান। এই ব্যাটসম্যান দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার কিছু আগে ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। চারে নেমে মুশফিকুর রহিম ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ব্যাট হাতে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা বেশ হতাশই করেছে। দলটি শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। ওপেনিং জুটিতে ১১ রান তুলতে পারে দলটি। যার প্রত্যেকটি আসে মেহেদী মারুফের ব্যাট থেকে। এই ব্যাটসম্যান নিজের ভুলে রান আউটের শিকার হলে ভাঙে জুটিটি।
এরপর ৫০ রান তোলার আগেই দলের অর্ধেক ব্যাটসম্যানকেই হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম শিবির। দলটির অধিনায়ক শুভাগত হোম ১, আফগান রিক্রুট দারউইশ রসুল ৩, পাকিস্তানি উসমান খান ৩ এবং বাংলাদেশের আল আমিনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
পাঁচে নেমে চট্টগ্রামের তারকা ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন কিছুটা চেষ্টা করেন। তবে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনিও। নিচের দিকের আর কোনো ব্যাটসম্যান ডাবল ডিজিট স্পর্শ করতে না পারায় ৮৯ রানের দলীয় ইনিংস নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় চট্টগ্রাম।
সিলেটের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন রেজাউর রাজা। এই টাইগার পেসার ১৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন। এ ছাড়াও মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। লম্বা সময় পর মাঠে নামা মাশরাফী ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।