বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সোমবার (১৮ মে) ভোরেই ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে, ভোরের দিকে বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে পৌঁছেছে ভয়ঙ্কর এ ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় উপকূলের সুন্দরবন এলাকায় জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার বিধায়ক, বিডিও, পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে যাতে কোনও ফাঁকফোকর না থাকে সে ব্যাপারে উপকূলের জেলাগুলির কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে নবান্ন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, রায়দিঘি-সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ফ্লাড সেন্টারগুলিতে বাসিন্দাদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও এলাকার স্কুল, কলেজগুলিতেও যাতে দুর্যোগ নামার আগেই বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলা যায় সে ব্যাপারে জোরদার তৎপরতা চলছে।
একইভাবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বসিরহাটে তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনের তরফে চলছে সতর্কতামূলক প্রচার।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, শংকরপুর-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। দুর্যোগ এলে বাসিন্দাদের সরানোর জায়গা তৈরি রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই মানুষজনকে ফ্লাড সেন্টারে এনে রাখা হবে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’-এর মোকাবিলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়ার সঙ্গেই করোনার সংক্রমণ রুখতেও একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। একসঙ্গে অনেকে থাকলে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সেই কারণেই উপকূলের জেলাগুলোর ফ্লাড সেন্টার ও স্কুল-কলেজগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, স্যানিটাইজার রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে মেডিকেল টিমেরও ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।সময় নিউজ