আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে পরে তা ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-তে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতি অনেক থাকবে। এটি শক্তি সঞ্চয় করবে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার সময় তীব্র বিধ্বংসী হতে পারে। এটি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসার সম্ভাবনা অনেক রয়েছে বলেও জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার। খবর- নিউজ১৮।
এদিকে রোববার নিয়মিত পূর্বাভাসে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আগ পর্যন্ত দুইদিন বৃষ্টি কম হতে পারে। এরপর বুধবার থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টি। আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। একই সঙ্গে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এর আগে চলতি অক্টোবর মাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, ১৮ অক্টোবর আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, লঘুচাপ থেকে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। সম্ভাবনা রয়েছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার। সম্ভাবনা খুবই বেশি অক্টোবর মাসের ২২ তারিখ থেকে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার।
এদিকে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে কোথায় আঘাত হানবে এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত এর যে গতিপ্রকৃতি, তাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা ওডিশার দিকেই এটি আঘাত হানতে পারে। তবে নিশ্চিত করে এখনই বলা যায় না। বাংলাদেশের উপকূলে আসার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৩০ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি